রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার কথা হয় এ দুই নেতার।  

এরদোগান পুতিনকে প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলনস্কির সঙ্গে পুতিনকে কথা বলিয়ে দিতে চান। 

পুতিন-এরদোগান কথোপকথোনের পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এরদোগান পুতিনকে বলেছেন, কিছু বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে দুই নেতার মধ্যে কথা হওয়া জরুরি।  

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘস্থায়ী একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান আসতে পারে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে কেন্দ্র করে ২০০৮ সাল থেকে দ্বন্দ্ব চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ওই বছরই ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছিল ইউক্রেন। সম্প্রতি দেশটিকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী সদস্যপদ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বাড়ে এই দ্বন্দ্ব।

ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে গত দুই মাস রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছিল মস্কো।

কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে আসেনি। উপরন্তু এই দু’মাসের প্রায় প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে গেছে— যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী।

অবশেষে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া; এবং তার দু’দিন পর, ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।  

এনএফ