দিমিত্রি মেদভেদেভ

বিশ্বের যে কোনো পরাশক্তিকে সাধারণ স্তরে নামিয়ে আনার ক্ষমতা রাশিয়ার রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘রাশিয়াকে নতজানু করতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে রুশোফোবিয়া (রাশিয়া বিষয়ক আতঙ্ক) ছড়াচ্ছে; কিন্তু এটা কাজ করবে না। রাশিয়া এখনও তার উদ্ধত শত্রুদের সাধারণ স্তরে নামিয়ে আনার ক্ষমতা রাখে।’

পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে কেন্দ্র করে ২০০৮ সাল থেকে দ্বন্দ্ব চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ওই বছরই ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছিল ইউক্রেন। সম্প্রতি দেশটিকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী সদস্যপদ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বাড়ে এই দ্বন্দ্ব।

ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে গত দুই মাস রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছিল মস্কো।

কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে আসেনি। উপরন্তু এই দু’মাসের প্রায় প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে গেছে— যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী।

অবশেষে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া; এবং তার দু’দিন পর, ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

পুতিন বলেছেন, রাশিয়াকে হুমকি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেইনকে ব্যবহার করার চেষ্টা প্রতিহত করা এবং দোনেতস্ক ও লুহানস্কের রুশভাষীদেরকে ইউক্রেইনের ‘গণহত্যার’ হাত থেকে বাঁচাতে এই ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ জরুরি হয়ে পড়েছিল।

অন্যদিকে ইউক্রেইন বলছে, তারা তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় লড়ছে। পুতিন গণহত্যা সংক্রান্ত যে দাবি করছেন, তা ঠিক নয় বলেও ভাষ্য তাদের।

এদিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। ইতোমধ্যে মস্কো বলেছে, ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন প্রতারক ও ক্ষয়িষ্ণু পশ্চিমাদের ছাড়া ভালোভাবেই চলতে পারবে রাশিয়া।

সূত্র: রয়টার্স

এসএমডব্লিউ