করোনা সংক্রমণ: গত বছরের রেকর্ড পেছনে ফেলল চীন
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোরভাবে ‘জিরো কোভিড পলিসি’ গ্রহণ করা সত্ত্বেও চীনে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই গত বছরের মোট সংক্রমণের রেকর্ড পেছনে ফেলেছে দেশটি।
চীনের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের (এনএইচসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত চীনে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজারেরও বেশি মানুষ, যেখানে ২০২১ সালের ১২ মাসে চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৩৭৮ জন।
বিজ্ঞাপন
গত সপ্তাহে চীনের রাজধানী বেইজিং, প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র সাংহাইসহ গুয়াংডং, জিয়াংশু, শ্যানডং এবং ঝেজিয়াংয়ের মতো জনবহুল শহরগুলোতে দৈনিক সংক্রমণে উল্লম্ফন ঘটেছে জানিয়েছেন এনএইচসির কর্মকর্তারা। তারা আরও বলেছেন, করোনার সবচেয়ে সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের প্রভাবেই দেশটিতে সংক্রমণের সাম্প্রতিক এই বাড়-বাড়ন্ত দেখা দিয়েছে।
অবশ্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনার দৈনিক সংক্রমণ এখনও অনেক কম চীনে। তাছাড়া, নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপরতা বাড়িয়েছে প্রশাসনও।
সাংহাইয়ের বাসিন্দা লয়েড জে (৩৪) এ প্রসঙ্গে রয়টার্সকে বলেন, ‘দূরপাল্লার বাস চলাচল গত কয়েকদিন ধরে বন্ধ আছে। যারা ট্রেন ও বিমানযোগে এক প্রদেশ থেকে আরেক প্রদেশে যাচ্ছেন, তাদেরকে করোনা টেস্টের সনদ সঙ্গে রাখতে হচ্ছে।’
‘কিন্তু এসব সত্ত্বেও সাংহাইয়ে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। আমাদের ধারণা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন খুব দ্রুতই কড়াকড়ি আরোপ করবে। এমনকি শহরজুড়ে লকডাউনও ঘোষণা হতে পারে।’
ইতোমধ্যে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শেনজেনে অস্থায়ীভাবে যাবতীয় গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন। সেখানকার জনগণকে ‘হোম অফিস’ করার নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এসএমডব্লিউ