ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহকে লক্ষ্য করে হামলা করবে রাশিয়া
টানা তিন সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ হামলা মোকাবিলায় সরাসরি সেনা না পাঠালেও মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহকে হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে রুশ সেনারা। শনিবার (১২ মার্চ) মস্কো এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
বিজ্ঞাপন
শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রুশ উপপরাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছি যে, বেশ কয়েকটি দেশ থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র ঢোকানো কেবল একটি বিপজ্জনক কাজই নয়, এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা এই (অস্ত্র বহনকারী) কনভয়গুলোকে হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে।’
তিনি বলেন, মানুষ বহনযোগ্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইত্যাদির মতো অস্ত্র কোনো চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই ইউক্রেনে স্থানান্তরের পরিণতি সম্পর্কে (পশ্চিমা দেশগুলোকে) সতর্ক করেছে মস্কো।
রিয়াবকভ আরও বলেন, ওয়াশিংটন মস্কোর সতর্কতাকে গুরুত্ব সহকারে নেয়নি এবং ইউক্রেনের বিষয়ে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র কোনো ‘আলোচনা’ করছে না।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।
সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর এক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির বহু শহর কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। সামরিক অবকাঠামোর বাইরে রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে আবাসিক ভবন, স্কুল ও হাসপাতাল।
ধ্বংস হয়ে গেছে সামরিক-বেসামরিক বহু অবকাঠামো। আর এই পরিস্থিতিতে রুশ সেনাদের মোকাবিলায় পশ্চিমা দেশগুলোকে ইউক্রেনে আরও বেশি সংখ্যক অস্ত্র পাঠানো দাবি জানিয়ে আসছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
টিএম