সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নেতাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ফোনকলে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানের মধ্যে ইউক্রেনের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড় করতে এবং তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করতেই মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশের নেতাদের সাথে কথা বলতে চেয়েছিলেন বাইডেন।

কিন্তু বাইডেনের এই ফোনালাপ আয়োজনের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের চেষ্টা সফল হয়নি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে বলে বুধবার (৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’কে বলেছেন, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সাথে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কথা বলার চেষ্টা করছেন এবং এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ উভয় নেতাই প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিকে সৌদির কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন জার্নাল জানিয়েছে, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে রিয়াদের হস্তক্ষেপের জন্য আরও সমর্থন, নিজস্ব বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা এবং যুক্তরাষ্ট্রে যুবরাজ মোহাম্মদের আইনি দায়মুক্তি চায় সৌদি আরব।

বিবিসি বলছে, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট এবং সৌদি রাজপরিবারের কঠোর সমালোচক জামাল খাশোগির হত্যা মামলাও রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে নির্বাচনী প্রচারণার সময় জো বাইডেন সৌদি আরবকে ‘পারিয়াহ’ বা অস্পৃশ্য রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। সেসময় বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সৌদি আরবকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।

এদিকে ওয়াশিংটন জার্নাল আরও জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাম্প্রতিক সময়ে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সংযত প্রতিক্রিয়ায় অনেকটা উদ্বিগ্ন আবুধাবি।

টিএম