ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

‘আমরা হাল ছেড়ে দেব না। আমরা কিছুতেই হারব না। দেশের জন্য যেকোনো মূল্যে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। যুদ্ধ চালিয়ে যাব বনে-জঙ্গলে, ক্ষেতে-খামারে, পথে-প্রান্তরে, জলে-স্থলে, আকাশে-বাতাসে, নদীর তীর থেকে তীরে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব।’

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে তীব্র আবেগঘন ভাষণে এসব কথা বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং ইউক্রেনের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে ভার্চুয়ালি তিনি এই ভাষণ দেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ। 

জেলেনস্কি বলেন, ‘এ লড়াই চালিয়ে নিতে আমরা সকলের সহায়তা চাই।’

এ সময় রাশিয়াকে সন্ত্রাসী দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করতে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানান জেলেনস্কি। তিনি মস্কোর ওপর যুক্তরাজ্যকে নিষেধাজ্ঞা জারি করতেও বলেন। 

জেলেনস্কির এই ভাষণকে ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান। 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কির ভাষণ রেকর্ড করে রাখা হয়েছে। কোনো ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা যদি কোনো কারণে মঙ্গলবারের এই ভাষণ শুনতে ব্যর্থ হন, সেক্ষেত্রে তিনি যেন পরবর্তীতে তা শুনে নিতে পারেন। 

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবনের নাম ওয়েস্ট মিনিস্টার হল এবং পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের নাম হাউস অব লর্ডস। তবে দেশটির জাতীয় রাজনীতিতে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সেরই প্রভাব বেশি।

এর আগে ৪ জন বিদেশি শীর্ষনেতা হাউস অব কমন্সের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিয়েছেন। তারা হলেন— সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান, বিল ক্লিনটন, বারাক ওবামা ও জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যানজেলা মের্কেল। জেলেনস্কি এই তালিকার ৫ম ব্যক্তি।

এর আগে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেন ওয়ালেস ব্রিটেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে বলেছিলেন, ‘আমরা সবাই জেলেনস্কির বক্তব্য শুনতে আগ্রহী। কারণ তিনি ইউক্রেনের বর্তমান অনুপ্রেরণা, তিনি তরুণ, মুক্তচিন্তার অধিকারী। এছাড়া তিনি নিজেকে একজন ইউরোপীয় মনে করেন— যা পুতিন নিজেকে কখনো মনে করেন না।’ 

এইচকে