করোনাভাইরাস মহামারিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া সীমান্ত পুনরায় বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুলে দিচ্ছে মালয়েশিয়া। মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বলেছেন, যেসব বিদেশি পর্যটক করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন, তারা আগামী ১ এপ্রিল থেকে কোনো ধরনের কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন।

তবে দেশটির উদ্দেশে যাত্রা শুরুর আগে আরটি-পিসিআর এবং পৌঁছানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনো পেশাদারের তত্ত্বাবধানে আরটিকে-অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করাতে হবে। বর্তমানে কেবলমাত্র টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া পর্যটকরা এয়ার বাবল চুক্তি অনুযায়ী, সিঙ্গাপুর এবং ল্যাংকাউই হয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারেন।

মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেওয়া সরাসরি ভাষণে ইসমাইল সাবরি বলেন, ভাইরাসকে সঙ্গী করে মহামারির স্থানীয় রূপে জীবন চালিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপের অংশ হিসাবে পুনরায় সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে দ্রুতগতিতে করোনাভাইরাস মহামারির বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় দুই বছর আগে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ সীমান্ত বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। ইসমাইল সাবরি বলেছেন, ‘সরকার ১ এপ্রিল থেকে দেশের সীমান্ত পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সীমান্ত খোলা নিয়ে জনগণের দীর্ঘ প্রতীক্ষা ছিল। সামগ্রিকভাবে এই ঘোষণা দেশের অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করবে; বিশেষ করে পর্যটন শিল্পে, যা মহামারিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

মালয়েশিয়ার সরকার সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এখন থেকে বিদেশি পর্যটকদের দেশটিতে যাত্রা শুরুর আগে ‘মাইসেজাহতেরা’ (MySejahtera) অ্যাপের মাধ্যমে ভ্রমণ ফরম পূরণ করতে হবে। তবে পর্যটকদের ট্রাভেল পাসের জন্যও আবেদন করতে হবে না।

মহামারি থেকে বেরিয়ে আসার এই পর্যায়ে দেশটিতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসমাইল সাবরি। করোনার অতি-সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে দৈনিক রেকর্ড সংক্রমণ এবং হাসপাতালে ভর্তির হার গত ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হওয়া সত্ত্বেও অর্থনীতি উন্মুক্ত রেখেছে মালয়েশিয়া। সোমবারও দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৮৫৬ জন।

মালয়েশিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশকে ইতোমধ্যে করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৬৪ শতাংশ অন্তত একটি করে বুস্টার ডোজও নিয়েছেন। মহামারির বিধি-নিষেধ থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে এসে সবকিছু স্বাভাবিক করার পথে হাঁটছে দেশটি।

সূত্র: স্ট্রেইট টাইমস, দ্য স্টার।

এসএস