মানবিক করিডোর চালু করার পর প্রথমবারের মতো স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের একটি দল ইউক্রেনের সুমি শহর ছেড়েছে। করিডোর চালুর আগের সিদ্ধান্ত রুশ সৈন্যদের গোলাবর্ষণের মুখে ভেস্তে যাওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে হওয়া নতুন সমঝোতা অনুযায়ী মঙ্গলবার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চেরিহিভ, সুমি, খারকিভ, মারিউপোল এবং রাজধানী কিয়েভ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য মানবিক করিডোর চালু করা হয়েছে।

সুমি ছাড়াও রাজধানী কিয়েভের পশ্চিমের শহর ইরপিন থেকেও একদল বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলের প্রধান ওলেক্সি কুলেবা বলেছেন, রোমানভিকা গ্রামের ভেতর দিয়ে শহরের জনসংখ্যাকে কিয়েভ শহরে সরিয়ে নেওয়ার কাজ অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সেখানকার ১৫০ জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে রুশ সৈন্যদের গোলাবর্ষণের কারণে এ ধরনের করিডোর প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়। রাশিয়ার সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স বলছে, মঙ্গলবার ইউক্রেনের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে গোলাবর্ষণ বন্ধ রেখেছে রুশ সামরিক বাহিনী। 

এক টুইটে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা ইতোমধ্যে সুমি থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীসহ বেসামরিক নাগরিকদের পোলটাভা (মধ্য-ইউক্রেনে) শহরে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছি। ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলেও মানবিক করিডোর চালুর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য আমরা রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর বেসামরিক লোকজন যুদ্ধের মাঝে আটকা পড়েছেন। ইউক্রেনকে ‘নাৎসিমুক্ত এবং অসামরিকায়ন’ করার লক্ষ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিবেশী এই দেশটিতে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন। তারপর থেকে রুশ সৈন্যদের গোলাবর্ষণ, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। 

সোমবার ইউক্রেনের কয়েকটি শহর থেকে বেসামরিক লোকজনকে বেলারুশ এবং রাশিয়ায় সরিয়ে নিতে মানবিক করিডোর চালুর প্রস্তাব দেয় মস্কো। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওই প্রস্তাবকে ‘অনৈতিক’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ প্রস্তাবিত ওই করিডোর ব্যবহার করে কেবল রাশিয়া ও বেলারুশে যাওয়া যায়।

এসএস