কিয়েভের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলল রুশ সামরিক বাহিনী
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে বলেছে রুশ সামরিক বাহিনী। মস্কো থেকে রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিয়েভ থেকে বাসিন্দারা দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর ভ্যাসিলকিভের দিকে চলে যেতে পারবেন এবং এতে তাদেরকে বাধা দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ সামরিক বাহিনীর অভিযান সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ব্রিফিং করার সময় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেঙ্কোভ কিয়েভের বাসিন্দাদের এই প্রস্তাব দেন।
বিজ্ঞাপন
রশিয়া ২৪ নিউজ চ্যানেলে মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেঙ্কোভকে বলতে শোনা যায়, ‘(কিয়েভ থেকে) বেসামরিক মানুষের বেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা দেবে না রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।’
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কিয়েভ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যেতে বলল রাশিয়া। এর আগে গত সোমবার ইগোর কোনাশেঙ্কোভ কিয়েভের বাসিন্দাদের প্রতি একই আহ্বান জানিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, (বেসামরিক মানুষের জন্য) কিয়েভ থেকে বেরিয়ে ভ্যাসিলকিভে যাওয়ার রাস্তা খোলা এবং নিরাপদ।
তবে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ভ্যাসিলকিভ শহরও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ব্যাপক গোলাবর্ষণের শিকার হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কিয়েভের বাসিন্দারা ভ্যাসিলকিভে গেলেও সেখানে তারা কতটা নিরাপদ সেটি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে ঢুকে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম ইউরোপের প্রথম দেশ হিসাবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।
হামলার তৃতীয় দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক আক্রমণ করে রুশ সামরিক বাহিনী। এতে করে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির রাজধানীর রাস্তায় রাস্তায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য প্রবল হামলার মুখেও কিয়েভে বেশ শক্ত প্রতিরোধের মুখেই পড়েছে রুশ বাহিনী।
এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার রাতে রাজধানী কিয়েভ অভিমুখে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ৪০ মাইল (৬৪ কিলোমিটার) দীর্ঘ একটি সেনাবহর এগিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। বিশাল এই সেনাবহরে অস্ত্র-সজ্জিত যান, ট্যাংক, গোলাবারুদ ও লজিস্টিক্যাল যান রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, যেকোনো সময় কিয়েভের ওপর জোরালো হামলা শুরু করতে পারে রুশ বাহিনী।
টিএম