ইউক্রেনে গত এক সপ্তাহের তীব্র যুদ্ধে রাশিয়ার প্রায় ৫০০ সৈন্য মারা গেছে বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে মস্কো। বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে আক্রমণে প্রায় ৫০০ রুশ সৈন্য মারা গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও কয়েকশ’। তবে রাশিয়ার সাত দিনের এই অভিযানে হতাহতের সংখ্যা এখনও পরিষ্কার নয়। কারণ বুধবার ইউক্রেনের সরকার বলেছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ৫ হাজার ৪৮০ সৈন্য নিহত হয়েছে।

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা বেশ কিছু ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, যুদ্ধের ময়দানে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সৈন্যরা ব্যাপক হতাহতের শিকার হয়েছে।

রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, ইউক্রেনে চলমান সংঘাতে ৪৯৮ রুশ সৈন্য নিহত এবং আরও এক হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার এই হতাহতের সংখ্যা প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় বলেছে, রুশ সৈন্যদের অসংখ্য হতাহত হয়েছে।

রাশিয়ার আগ্রাসনে ২ হাজারের বেশি বেসামরিক নিহত: ইউক্রেন

এদিকে, রাশিয়ার আগ্রাসনে ইউক্রেনে ২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ইউক্রেনজুড়ে অনবরত গোলাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এই প্রাণহানি ঘটেছে বলে বুধবার ইউক্রেনের ইমারজেন্সি সার্ভিস জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ উদ্ধারকর্মীও রয়েছেন।

ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার অব্যাহত গোলাবর্ষণে ৪ শতাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া উদ্ধারকর্মীরা অন্তত ৪১৬টি বিস্ফোরক নিস্ক্রিয় করেছেন। ইমারজেন্সি সার্ভিস বলছে, সাত দিনের এই যুদ্ধে রাশিয়া শত শত পরিবহন কেন্দ্র, আবাসিক ভবন, হাসপাতাল ও কিন্ডারগার্টেন ধ্বংস করেছে।

এদিকে, ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মারিউপোলের কর্মকর্তারা বলেছেন, রুশ সীমান্তের কাছে এই শহরে কয়েক ঘণ্টা ধরে টানা গোলাবর্ষণ করেছে রাশিয়া। এতে শহরটিতে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

মারিউপোলের ডেপুটি মেয়র সার্জি ওরলোভ বলেছেন, ‘নদী তীরবর্তী জেলা এটি; যেখানে তার বাবাসহ এক লাখ ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। রাশিয়ার হামলায় শহরটি প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।’

টেলিফোনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই শহরে নিহতের সংখ্যা হিসাব করতে পারিনি। তবে শত শত মানুষ মারা গেছেন বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’ তিনি জানান, তারা মরদেহ উদ্ধারের জন্যও যেতে পারছেন না।

সূত্র: আরটি, বিবিসি।

এসএস