ইউক্রেনে তেল স্থাপনা গ্যাস পাইপলাইন ধ্বংস করছে রুশ সৈন্যরা
সামরিক অভিযানের চতুর্থ দিনে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের তেলের মজুত ও গ্যাস পাইপলাইন জ্বালিয়ে দিচ্ছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
শনিবার মধ্যরাতের পর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রাজধানী কিয়েভের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় উপশহর ভাসিলকিভের একটি তেলের ডিপো জ্বালিয়ে দিয়েছে রুশ সেনারা। এছাড়া রাতভর শহরের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন ভাসিলকিভেল মেয়র নাতালিয়া বালাসিনোভিচ।
বিজ্ঞাপন
ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ দখলে নেওয়ার পর শহরের মূল গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দিয়েছে সেনারা। এছাড়াও দেশটির বিভিন্ন শহরের তেলের ডিপো ও গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থাকে রুশ বাহিনী তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
এছাড়া শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল ৯ টা পর্যন্ত কিয়েভে তিন দফা বিমান হামলা হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন একাধিক প্রত্যক্ষ্যদর্শী।
এদিকে এই অভিযানের শুরু থেকে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলো দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ন্যাটোর ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহ থেকে ব্যাবসা গুটিয়ে নিতে হবে রাশিয়ার প্রধান ব্যাংকগুলোকে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রধান মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থা সুইফট ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট সিস্টেম থেকেও বাদ পড়বে রাশিয়া।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, ইতালি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়ে বলা হয়, ‘আমরা এই মর্মে একমত যে, রাশিয়াকে এই হামলার জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতি থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তার কার্যক্রম চালু থাকবে।’
সূত্র: রয়টার্স
এসএমডব্লিউ/জেএস