রাশিয়ান সৈন্যরা হামলা চালিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিরোধে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেনের সৈন্যরা। রাজধানী কিয়েভে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের বিকট শব্দে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই কিয়েভবাসীকে সংকেত বাজিয়ে সতর্ক করে নিরাপদ আশ্রয় নিতে বলা হয়। তখনই অনুমান করা যাচ্ছিল এই রাত হতে যাচ্ছে দীর্ঘ, সঙ্গে ভয় ও অনিশ্চয়তায় ভরপুর।  

কিয়েভের আকাশে এরইমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রের আলোর ঝলকানি শুরু হয়ে গেছে। রুশ সেনারা কিয়েভে প্রবেশ করেছে। শহরের মেয়র দাবি করেন, তিনি পাঁচটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। 

মেয়র ভিতালি ক্লিতশকো বিবিসিকে বলেন, কিয়েভ এক কঠিনতম রাত্রির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। আমি তিন থেকে পাঁচ মিনিটির মধ্যেই পাঁচটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছি। শহরের উত্তরের দিকে পাওয়ার স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণ হতে পারে। 

রাত নামার আগেই শহরটির বিভিন্ন সড়ক ফাঁকা হয়ে আসতে থাকে। ইউক্রেনের সৈন্যরা একের পর এক গাড়িতে তল্লাশি চালাতে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কৌশল বিবেচনায় তারা অবস্থান নেয়।  

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাজধানী কিয়েভেই অবস্থান করছেন। সন্ধ্যায় ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, এখানে আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, আমি ও আমার উপদেষ্টারা রয়েছেন। আমরা সবাই এখানে আছি। আমাদের সৈন্যরা রয়েছেন। সঙ্গে আমাদের নাগরিকরাও রয়েছেন। আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব, দেশকে রক্ষা করব।

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মুখপাত্র জানিয়েছেন, অস্ত্রবিরতি দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে তার দেশ প্রস্তুত রয়েছে। তিনি জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা শান্তি আলোচনার স্থান ও সময় নির্ধারণে কথা বলছেন। তবে রাশিয়া অবশ্য বলে রেখেছে, ইউক্রেনের সব সৈন্য আত্মসমর্পণ করলেই আলোচনা হবে।  

গত বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে ঢুকে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এটিকে অন্যতম বড় হামলার ঘটনা হিসেবে বলা হচ্ছে। ইউএনএইচসিআর বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক এক লাখ বাসিন্দা ইতোমধ্যে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ৫০ লাখ পর্যন্ত মানুষ ইউক্রেনে ঘরছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা সংস্থাটির। 

আরএইচ