হুয়া শুনয়িইং, ছবি: আরটি

ইউক্রেনে শুরু হওয়া রুশ সামরিক অভিযানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া শুনয়িইং বলেছেন, গত দুই মাস ধরে এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রতিদিন যুক্তরাষ্ট্র যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, তার ফলাফল ইউক্রেনে এই সামরিক অভিযান।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন হুয়া শুনয়িইং। ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুনয়িইং বলেন, ‘বর্তমানে ওই অঞ্চলে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য মূলত দায়ী যুক্তরাষ্ট্র।’

‘কেউ যদি নিয়মিত কোনো অগ্নিশিখায় তেল ঢালতে থাকে এবং অন্যদের অভিযোগ করতে থাকে যে, কেন তারা আগুন নেভাচ্ছে না— সেক্ষেত্রে এই আচরণকে নিঃসন্দেহে সবাই দায়িত্বহীন ও আদর্শহীন আচরণ হিসেবে চিহ্নিত করবে…তাই নয় কি? এই ইস্যুতেও ব্যাপারটি এমনই।’

 সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে ‘ভণ্ডামোপূর্ণ’ বলেও সমালোচনা করেন শুনয়িইং। এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যখন ইরাক ও আফগানিস্তানে হামলা করেছিল, তখন সেই সব দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি? সাধারণ নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারাননি?’

‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, তারা যেন বিশ্বশান্তির ব্যাপারে মনযোগী হয় এবং যাবতীয় দ্বিমুখী নীতি ত্যাগ করে।’

রুশ বাহিনীকে সহায়তা করতে সেখানে চীনা সেনাবাহিনী পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন— সরকারের এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই, বরং চীন বিশ্বাস করে এই ইস্যুতে বিবদমান সব পক্ষকে সংঘাত থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ, উত্তেজনা বাড়তে থাকলে যে কোনো সময় বড় ধরণের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই চীনা সাংবাদিকরা ইউক্রেনে শুরু হওয়া রুশ আগ্রাসন নিয়ে চীনের অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন। তার উত্তরে শুনয়িইং বলেন, ‘আপনারা যাকে ‘আগ্রাসন’ বলছেন তা আসলে পশ্চিমা দেশ ও সেসব দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর ব্যবহৃত শব্দ এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গী। আমাদের অবস্থান সে রকম নয়।’

‘পূর্ব ইউরোপের বর্তমান যে পরিস্থিতি, তা শুরু থেকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে চীন। আমরা সব পক্ষকে সংযমের অনুরোধ করছি এবং পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সেজন্য সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

সূত্র: আরটি

এসএমডব্লিউ