ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাওসেদা। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হওয়ার পর জরুরি অবস্থা জারি করেছে রাশিয়ার অন্যতম মিত্র বেলারুশের সীমান্তের এই দেশটি।

নাওসেদা বলেছেন, তিনি ‌রাশিয়া এবং বেলারুশের বিশাল সামরিক বাহিনীর কারণে সম্ভাব্য গোলযোগ এবং উসকানির প্রেক্ষাপটে সীমান্ত সুরক্ষার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছেন।

এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে সীমান্ত থাকা এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা কাল্লাস বিবিসিকে বলেছেন, আমরা ইউক্রেনকে সব উপায়ে সহায়তা করতে যাচ্ছি। রাজনৈতিক সমর্থনসহ অস্ত্র পাঠিয়ে ইউক্রেনকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, এই আগ্রাসন যাতে আর প্রসারিত না হয় সে জন্য আমাদের ইইউ এবং ন্যাটো পর্যায়ে সবকিছু করতে হবে। তিনি এস্তোনিয়ানদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং বলেছেন, বর্তমানে এস্তোনিয়া সীমান্তে কোনো হুমকি নেই।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম ইউরোপের প্রথম দেশ হিসাবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় হামলা শুরু করেছে। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টির মতো পড়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের চেরনিহিভ, খারকিভ এবং লুহানস্ক সীমান্ত পেরিয়ে হাজার হাজার রুশ সৈন্য স্থলপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েছে।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। আজ এই শহরের বাসিন্দাদের ঘুম ভেঙেছে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে। বন্দুকের আওয়াজ, সাইরেনের শব্দ আর বাসিন্দাদের পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় শহরের বাইরের প্রধান মহাসড়কটি যানজটে শ্বাসরুদ্ধকর হয়ে পড়ে, বলছে রয়টার্স।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কিয়েভে বিস্ফোরণের পর ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সদরদফতর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। যুদ্ধ এড়াতে পশ্চিমা নেতাদের ব্যর্থ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেওয়ার পর নজীরবিহীন সংঘাতের মুখোমুখি হয়েছে দেশটি। 
 
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়ার পর ইউক্রেনের কয়েকটি শহরে বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আক্রমণ শুরুর প্রথম এক ঘণ্টায় ইউক্রেনের ৪০ জনের বেশি সৈন্য এবং ১০ বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে ইউক্রেন বলছে, পাল্টা প্রতিরোধে রাশিয়ার অন্তত ৫০ দখলদার সৈন্য নিহত হয়েছে।

এসএস