ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ১১ টি বিমানঘাঁটি ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে রুশ সেনারা। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এইদিন সকালেই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালনোর ঘোষণা দেন পুতিন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ওই ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি ইউক্রেনে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তার ভাষণ প্রচারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রুশ সেনারা ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটি ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে পেরেছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার পুতিনের ভাষণ প্রচারের কিছুক্ষণের মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও অন্যান্য বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, একেবারে নিখুঁত অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর ১১টি ঘাঁটি এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তন জেরাশেঙ্কো বলেছেন, কিয়েভ, খারকভ এবং নিপারের কাছে সামরিক সদর দপ্তর, বিমানবন্দর, সামরিক অস্ত্রাগারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

ইতোমধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার সামরিক আক্রমণ শুরুর পর বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের জনগণকে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জেলেনস্কি। এছাড়া ইউক্রেনকে রক্ষায় ইচ্ছুক কারো ওপর পূর্বে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে থাকলে এখন তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

সূত্র: এএফপি

এসএমডব্লিউ