হার্ট চলার জন্য প্রয়োজন হয় অক্সিজেন ও পুষ্টি। এই অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহের জন্য রয়েছে হার্টের নিজস্ব রক্তনালী। বিশেষ করে তিনটি রক্তনালী তাদের শাখা-প্রশাখার মাধ্যমে রক্ত সরবরাহ করে থাকে হার্টের মাংসপেশিতে। তিনটি রক্তনালির যে কোনো একটি বন্ধ হয়ে গেলে হার্টের ক্ষতি হয়। এটা হতে পারে রক্তনালীতে চর্বি জমে সরু হয়ে গেলে। রক্ত চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে হৃদপিণ্ডের পেশির কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এই অবস্থাকে হার্ট অ্যাটাক বলা হয়।  

আর এই হার্ট অ্যাটাকের বিপদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় কোলেস্টেরল। তাই খাবারের সময় কোলেস্টেরল নিয়ে সাবধান থাকতে হবে। যেসব খাবার কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয় সেগুলো এড়িয়ে যেতে হবে আর যেসব খাবারে কোলেস্টেরল কমে সেগুলো বেশি করে খেতে হবে।  

কোলেস্টেরল মূলত এক ধরনের চর্বিজাতীয়, তৈলাক্ত স্টেরয়েড যা সেল মেমব্রেনে পাওয়া যায় এবং যা রক্তে পরিবাহিত হয়। এটা জরুরি উপাদান হলেও রক্তে এটা বেশি থাকলে তা বিপদের কারণ। কারণ তা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এ বিপদ কমাতে যে পাঁচটি খাবার নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে- 

বাদাম: বাদমকে কেউ কেউ সুস্বাস্থ্যের বন্ধু বলেও মনে করেন। প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম আপনার রক্তে ক্ষতিকর চর্বি বা কম ঘনত্বের লিপিডের (এলডিএল) মাত্রা ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া বাদাম খেলে পাবেন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা আপনার অ্যানার্জি বাড়াতেও সহায়ক হবে। 

ওটস: সুস্থ থাকতে ওটসের জুড়িমেলা ভার।  নিয়মিত ওটস খেতে পারলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ওটস কিন্তু পুষ্টিতে ভরপুর। সেই সঙ্গে ক্যালোরি একেবারেই নেই। সকালে নাস্তায় ওটস খেলে দিনের শুরুতেই ১-২ গ্রাম ফাইবার খাওয়া হয়ে যাবে, যা অন্ত্রে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেবে। 

শিমের বিচি: শিমের বিচি, মটরশুঁটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা সহজে পেট ভরায়, সারাদিন খিদে কম পায় এবং কম খাওয়া হয়। 

এছাড়া সবুজ পাতা ও ডাঁটাওয়ালা সবজি, যেমন বিভিন্ন ধরনের শাক এবং খোসাসহ ফল যেমন পেয়ারা, আপেলে রয়েছে অন্ত্রের চর্বি শোষণ কমানোর উপাদান। এই ধরেনের সবজি ও ফল রক্তে এলডিএলের মাত্রা ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। 

তৈলাক্ত মাছ:  তৈলাক্ত মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মস্তিষ্কসহ শরীরের বিভিন্ন কোষের প্রাচীর (সেল মেমব্রেন) গঠন করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। একইসঙ্গে এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে ক্ষতিকর ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে দেয়।  তাই সারা সপ্তাহে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তৈলাক্ত মাছগুলো খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।  

এনএফ