করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। সে হিসাবে আজ এ কর্মসূচির এক বছর পূরণ হলো। দেশের বিপুল সংখ্যক জনগণকে টিকার আওতায় আনতে বছরজুড়ে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত দেশের ৯ কোটি ৯১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ মানুষকে টিকার (প্রথম ডোজ) আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। যা করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব রোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো টিকাদান কার্যক্রমের হালনাগাদ তথ্যে বলা হয়, দেশে সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯ কোটি ৯১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ জনকে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে মোট ৬ কোটি ৫১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪৭ জনকে। এর মধ্যে গত এক দিনেই (রোববার) দেশে ২ লাখ ৫ হাজার ৬৩১ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এই দিন দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯১২ জনকে। সে হিসেবে আজকের (সোমবার) এ দিনটিকে ঘিরে দেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার সম্ভাবনা রয়েছে। 

এর আগে গত রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম আশা করেছিল এক বছর পূরণের মধ্যেই প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ১০ কোটিতে পৌঁছাবে।

এদিকে টিকা কর্মসূচিতে গুরুত্বারোপ করে অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, সরকার সফলভাবেই দেশে টিকা কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে। এখনও আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকা মজুত আছে। যারা এখনও টিকা নেননি, সংক্রমণ প্রতিরোধে দ্রুত টিকা নিন। কারণ, সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা আর স্বাস্থ্যবিধিই একমাত্র ভরসা।

তিনি বলেন, সরকার বুস্টার ডোজের বয়সসীমা কমিয়েছে। যারা ওই বয়সসীমার মধ্যে আছেন, যারা আগে থেকেই দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগে ভুগছেন, তারা দ্রুতই বুস্টার ডোজের টিকা নিন।

নাজমুল ইসলাম বলেন, শিগগিরই বইমেলা শুরু হবে। যেহেতু বইমেলায় বিপুল লোক সমাগম হবে, স্টলগুলোতে যারা দায়িত্ব পালন করবেন এবং মেলা সংশ্লিষ্ট যারা থাকবেন, তাদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে যাদের প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার পর দ্বিতীয়টির এসএমএস এসেছে, তারা যেন যথাসময়ে সেটি নিয়ে নেন। বইমেলায় অবশ্যই টিকা গ্রহণের যে সনদটি রয়েছে, সেটি যেন প্রদর্শন করা যায়। এটি অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ক হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে দেশের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়।

টিআই/এসকেডি