মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উচ্চতর চিকিৎসা শিক্ষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাত শতাধিক নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসককে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসকদের সম্মাননা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের হাতে এসব বৃত্তি ও সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

এসময় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশের কোনো রোগীকে যাতে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে না হয় সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ কমলেও করোনা চলে যায়নি। তাই অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। ভ্যাকসিন নিতে হবে। করোনা ভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নেওয়ার ৬ মাস পরে শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতির পরিমাণ কমতে থাকে। তাই বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ডাবলু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ,  কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

টিআই/জেডএস