আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায় বিশ্বে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে স্টেমসেল থেরাপি। আর এই থেরাপি বিশ্বের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশেও আশার আলো হয়ে এসেছে। যা দেশের বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায় অসামান্য ভূমিকা রাখছে।

আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে আয়োজিত স্টেমসেল থেরাপি ও রিজেনারেটিভ চিকিৎসাবিষয়ক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে চিকিৎসকরা জানান, স্টেমসেল হলো দেহের আদি কোষ। ল্যাবরেটরিতে স্টেমসেল ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ বা টিস্যুকে পুনরায় সচল করতে নতুন কোষ উৎপাদন করা হয়, যাকে বলে স্টেমসেল থেরাপি। বিশ্বে এই চিকিৎসাপদ্ধতি এখন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

তারা বলেন, ডায়াবেটিস, হৃদপিণ্ডের টিস্যু রিজেনারেশন, দীর্ঘমেয়াদী হাঁটু ব্যথা, কনুই ব্যথা, ফ্রোজেন শোল্ডার, স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি, ত্বক, চুলের নানাবিধ সমস্যা, সেক্সুয়াল ডিসফাংশন-সহ নানা দীর্ঘস্থায়ী জটিল রোগে স্টেমসেল থেরাপির সফল প্রয়োগ এখন বাংলাদেশেও হচ্ছে। এখন রোগীদের নতুন আশার আলো এই চিকিৎসাব্যবস্থা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বারডেম হাসপাতালের ডায়াবেটিস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. খাজা নাজিম উদ্দিন। ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরে কর্মরত, টোটিসেল লিমিটেড ও ডিএমএফআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জাকির হোসেন।

আরও বক্তব্য রাখেন ইডব্লিউ ভিলা মেডিকা বাংলাদেশের রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসা পরিচালক ডা. খালেদা এদিব বিনতে আবদুল্লাহ, ডিএমএফআর মলিকিউলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকসের মলিকিউলার বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সায়কা ফারুক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বারডেম হাসপাতালের ডায়াবেটিস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. জোবাইদুল ইসলাম।

বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের স্টেমসেল ল্যাব ও ক্লিনিক টোটিসেল লিমিটেড, ই-ডব্লিউ ভিলা মেডিকা বাংলাদেশ ও ডিএমএফআর মলিকিউলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস এই সেমিনার আয়োজনে সহায়তা করে।

টিআই/এইচকে