ঢামেক হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট ও শিশু বহির্বিভাগ উদ্বোধন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট এবং শিশু বহির্বিভাগের উদ্বোধন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মো. জাহিদ মালেক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এটি উদ্বোধন করেন।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের পাশে এই প্লান্ট ও বহির্বিভাগের উদ্বোধন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সবসময় একসঙ্গে কাজ করছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় প্রথম ভারত আমাদের সাহায্য করেছিল। করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে ভারত প্রথম আমাদের ভ্যাকসিন দিয়েছে। এছাড়া তাদের ক্রান্তিলগ্নেও তারা আমাদের লিকুইড অক্সিজেন দিয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে ভারত সরকার একটি অক্সিজেন প্লান্ট দিয়েছে। এজন্য ভারত সরকারকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও বলেন, যারা এখনও করোনার টিকা নেননি তারা টিকা নিয়ে নিন। আমাদের টিকার কোনো ঘাটতি নেই। এখনো আমাদের কাছে ৪ কোটি টিকা মজুদ আছে। তৃতীয় ওয়েভ আসুক তা চাই না। সবাইকে সতর্ক হতে হবে। ওমিক্রনে আক্রান্ত দুই খেলোয়াড় ভালো আছে। নতুন করে কেউ ওমিক্রনে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। ওমিক্রনে মৃত্যুর খবর এখানো পাওয়া যায়নি বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
হাসপাতালে শিশু বহির্বিভাগ উদ্বোধনের সময় মন্ত্রী জানান, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আমি খুব আনন্দিত এই বহির্বিভাগ দেখে। এখানে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি শিশুদের খেলার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। মায়েদের ব্রেস্ট ফিডিং করানোর জন্য একটি কর্নার তৈরি করা হয়েছে। এজন্য আমি ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হককে ধন্যবাদ জানান।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, আমরা সব ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশের পাশে আছি। আমরা করোনার সময় বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন, অক্সিজেন এবং বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট দিয়েছি। আশা করি এই অক্সিজেন প্লান্ট রোগীদের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সবসময় একসঙ্গে কাজ করছে। বিজয়ের মাসে আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ভারত সরকার আমাদের একটি অক্সিজেন প্লান্ট উপহার হিসেবে দিয়েছে। যেটা মিনিটে অক্সিজেন তৈরি করবে ৯৬০ লিটার। যা আমরা ১০০ জন রোগীকে সাপ্লাই দিতে পারব। এই অক্সিজেন প্লান্ট উপহার দেওয়ায় ভারত সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হেসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিরেক্টর জেনারেল অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়াসহ ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এসএএ/জেডএস