করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার নিবন্ধন ও তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত সুরক্ষা ওয়েবসাইট থেকে সার্ভার জটিলতার কারণে আড়াই লাখ টিকাগ্রহীতার তথ্য উধাও হয়েছে- এমন আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়েছে সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদফতর। তাদের দাবি, সুরক্ষা ওয়েবসাইট থেকে তথ্য উধাওয়ের কোন সুযোগ নেই।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদফতরের প্রোগ্রামার ও সুরক্ষা ওয়েব পোর্টালের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন,  তথ্য উধাওয়ের বিষয়ে আইসিটির সুরক্ষা প্রোগ্রামের কাছে এমন কোনো অভিযোগ আসেনি। এছাড়াও এখানে ডাটা মিসিং হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, ২-৩টি ধাপে সুরক্ষায় ডাটাগুলো সংরক্ষণ করা হয়। এমনকি সুরক্ষায় সব ডাটা রিকোভারিরও সুযোগ আছে।

অন্যকোনো পন্থায় টিকার তথ্য উধাওয়ের কোনো সুযোগ আছে কি-না জানতে চাইলে সুরক্ষার এই প্রোগ্রাম ম্যানেজার আরও বলেন, সুরক্ষা থেকে উধাওয়ের কোনো সুযোগ নেই। তবে যদি কোনো কেন্দ্র টিকার তথ্য হালনাগাদ না করেন, সেটার দায় আমাদের নয়, সেটা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

এর আগে, রোববার (৫ ডিসেম্বর) একটি অনলাইন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাজধানীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালসহ সারা দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৩ অক্টোবর যারা টিকা নিয়েছেন তাদের তথ্য সার্ভার থেকে ডিলিট হয়ে গেছে। যে কারণে ওই দিনে টিকা নেওয়া কাউকেই দ্বিতীয় ডোজের জন্য এসএমএস দেওয়া সম্ভব হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও ওই খবরে জানানো হয়। তাদের বরাতে বলা হয়, সার্ভারের জটিলতার কারণে গত ১৩ অক্টোবর সারা দেশে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৬১ জন টিকাগ্রহীতার টিকা গ্রহণের তারিখ সুরক্ষা ওয়েবসাইটের (www.surokkha.gov.bd) সার্ভার থেকে উধাও হয়ে গেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর যাদের তথ্য গায়েব হয়েছে, তাদের কিছুদিন পর নতুন করে টিকা কার্ড ডাউনলোড করতে হবে বলে জানানো হয়।

এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমানও তথ্য উধাওয়ের বিষয়ে বিস্ময় জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সুরক্ষা ওয়েবসাইট থেকে তথ্য উধায়ের বিষয়ে আমার জানা নেই। এমনটা যদি হয়ে থাকে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি আইসিটি বিভাগে জানানো হবে।

টিআই/ওএফ