টিকা নিচ্ছেন স্বাস্থ্যের অতিরিক্ত ডিজি নাসিমা সুলতানা

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন।

এদিন দেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বেক্সিমকোর আনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা নিয়েছেন সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তা। তিনি কুর্মিটোলা হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ইউনিটের ইনচার্জ।

এরপর দ্বিতীয় টিকা নেন ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, তৃতীয় টিকা নেন স্বাস্থ্যের অতিরিক্ত ডিজি নাসিমা সুলতানা, চতুর্থ টিকা নেন পুলিশ সদস্য দিদারুল ইসলাম, পঞ্চম টিকা নেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।

টিকা নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী সবার অনুভূতি জানতে চান এবং তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানান।

এর আগে কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সময়মতো ভ্যাকসিন আনতে পেরেছি, এখন তা মানুষের মধ্যে সফলভাবে প্রয়োগ করতে পারব।

শেখ হাসিনা বলেন, আশ্চর্যজনক এই করোনাভাইরাস সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে গেল। মানুষের কাজকর্ম করার সবকিছুতে একটা সীমাবদ্ধতা চলে এল। অর্থনীতিতে একটা স্থবিরতা চলে এল। আমরা জনগণের সেবক হিসেবে যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। এই করোনার সময় মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কীভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে পারি সেই চিন্তা করছিলাম। 

তিনি বলেন, এমন একটা ভাইরাস সারা পৃথিবীতে দেখা দিলো যার ভ্যাকসিন কোথাও নেই। সারা পৃথিবীতে গবেষণা চলছিল। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম, যারা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছে সব জায়গায় যেন আমরা চিঠি লিখে বলে রাখি যাতে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে আমরা পাই।

জেডএস