৩০ বছরের কম বয়সীদের সম্ভব হলে মডার্নার পরিবর্তে ফাইজারের করোনা টিকা নিতে পরামর্শ দিয়েছে ফ্রান্সের জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। 

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, দ্য ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল অথরিটি ফর হেল্থ (এইচএএস) বলেছে, মডার্নার টিকায় বিরল একটি হৃদরোগে ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। নির্দিষ্ট করে এইচএএস আসলে মাইয়োকার্ডিটিস নামে একটি রোগের কথা উল্লেখ করেছে। মডার্না টিকা নিয়ে সাম্প্রতিক তথ্য ও সোমবার প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনের আলোকে এ পরামর্শ দিয়েছে এইচএএস। 

এইচএএস বলছে, ৩০ বছরের কম বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে মডার্নার স্পাইকভ্যাক্স টিকার বদলে ফাইজারের কমির‌্যান্টি টিকায় এই ঝুঁকি ৫ ভাগ কম। 

তবে একইসঙ্গে এইচএএস এ কথাও বলছে যে, কার্যকারিতার দিক থেকে ফাইজারের টিকার চেয়ে মডার্নার টিকা কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। তাই ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের এই টিকা নিতেই সুপারিশ করা হয়েছে।  

অপেক্ষাকৃত তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে মডার্নার টিকা নেওয়ার পর হৃদরোগের ঝুঁকি নিয়ে আওয়াজ তুলেছে আরও কয়েকটি দেশ। গত মাসে সুইডেন জানায়, ১৯৯১ সাল ও এর পরে যারা জন্ম নিয়েছে তাদের মডার্নার টিকা দেওয়া হবে না। ১৮ বছরের কম বয়সীদের মডার্নার টিকা দেওয়া স্থগিত রেখেছে ডেনমার্ক। 

ইউরোপীয় ইউনিয়নে ওষুধ নিয়ন্ত্রকের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান দ্য ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) বুস্টার ডোজের জন্য মডার্নার টিকার অনুমোদন দিলেও এর জন্য শর্ত জুড়ে দিয়েছে যে, টিকাগ্রহীতার বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হতে হবে ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর বুস্টার ডোজ নিতে ন্যূনতম ৬ মাস সময় যেতে হবে।  

বছরের শুরুর দিকে ইউরোপীয় এই সংস্থা বলেছিল, বিরল একটি হৃদরোগের সঙ্গে মডার্না ও ফাইজার, দুটি টিকারই একটি সংযোগ তারা পেয়েছে। তবে এ কথাও তারা বলেছে যে, টিকা নেওয়ার ফলে যে ঝুঁকি রয়েছে সেটার চেয়ে টিকা নেওয়ার উপকার অনেক বেশি।   

সূত্র : দ্য হিল। 

এনএফ