করোনা আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থ হওয়া ঠেকাতে, অর্থাৎ রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ঠেকাতে সক্ষমতা দেখাচ্ছে একটি সস্তা অ্যান্টিডিপ্রেজেন্ট ওষুধ; যেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবসেসিভ-কমপালসিভ ডিসঅর্ডারের (ওসিডি) চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। 

ব্রাজিলে করোনা আক্রান্ত ১৫০০ রোগীর ওপর ফ্লুভোক্সামিনের পরীক্ষা চালিয়ে এ ফল পাওয়া গেছে। যাদের ওপর পরীক্ষাটা চালানো হয়েছে তারা কেউ করোনা ভাইরাসের টিকা নেননি এবং তাদের প্রত্যেকের এমন কোনো উপসর্গ ছিল যার থেকে তাদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল।  গেল সপ্তাহে ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। 

যাদের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে তাদের অর্ধেককে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার সাত দিনের মধ্যে ওষুধ পুরোদমে দেওয়া হয়। আর বাকি অর্ধেককে অল্প ডোজে ওষুধ দেওয়া হয়। এতে দেখা যায়  ফ্লুভোক্সামিন যারা দিনে দুবার করে পেয়েছেন,  অল্প ডোজ পাওয়াদের চেয়ে তাদের হাসপাতালে ভর্তি বা দীর্ঘসময় জরুরিভিত্তিতে পর্যবেক্ষণে থাকার প্রয়োজনীয়তা  ৩২ শতাংশ কমে আসে। 

যাদের ওষুধের ডোজ অল্প করে দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে একজন মারা যান।  
 
ইউনিভার্সিটি অব মিনেনসোটার একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, এ ফল খুবই ভালো। 

এছাড়া এ ওষুধের দাম কম হওয়ায় এবং এটা সহজলভ্য হওয়ায় করোনার চিকিৎসায় এর বড় সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যারা টিকা নিয়েছেন তাদের ওপর এখনও এ ওষুধের কোনো পরীক্ষা চালানো হয়নি। আর যেহেতু প্রতিদিনই প্রচুর মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে তাই এ বিষয়টা তারা মাথায় রাখছেন।   

ফ্লুভোক্সামিনের অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি প্রভাবের বিষয়টা মাথায় রেখেই এ ওষুধ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়। এছাড়া এ ওষুধ করোনা আক্রান্ত রোগীদের রক্ত জমাট বাঁধা ঠেকাতেও কার্যকরী। 

করোনার চিকিৎসায় এ পর্যন্ত বেশ কিছু ওষুধ কার্যকরী বলে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে নির্দিষ্ট এমন কোনো ওষুধ এখনও মানুষের হাতে আসেনি যেটা করোনার চিকিৎসায় শতভাগ কার্যকরী। 

সূত্র : সায়েন্সডটওআরজি। 

এনএফ