ডেঙ্গু : ৭ দিনে হাসপাতালে ভর্তি ১৫০০, মৃত্যু ৪
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কোনো ক্রমেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। অক্টোবর মাসের প্রথম সাত দিনেই সারাদেশে প্রায় ১৫০০ রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও চারজন।
সব মিলে এ বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৬৯৪ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে সারাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৫০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১৩৭ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন।
অধিদফতর বলছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুবরণকারীদের অধিকাংশই রাজধানীর বাসিন্দা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮৬ জনে। ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭২৯ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৫৭ জন।
প্রতিবেদনে বলা আরও হয়, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ (৮ অক্টোবর) পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৯ হাজার ৬৯৪ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৮ হাজার ৭৩৫ জন রোগী। ডেঙ্গুতে এ সময়ে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, বছরের প্রথম সাত মাসে ১২ জনের মৃত্যু হলেও পরের এক মাসেই (আগস্ট) ৩৩ জনের মৃত্যু হয়। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে ২৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর অক্টোবরের প্রথম সাত দিনে ৪ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। ওই বছর ১ লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। মারা যায় ১৪৮ জন। ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০০২ সালে, সেবার ৫৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ ছাড়া ২০০১ সালে ৪৪ জন মারা যায়। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও করোনা মহামারি মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে এবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী।
টিআই/এসকেডি