বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও চিকিৎসা, স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা ধর্মী বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে বিএসএমএমইউতে সব ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসার বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত করা হবে। আর এর মূল্য লক্ষ্য হবে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা যেন চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে না যায়।

বুধবার (৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ব্লকে আয়োজিত বিশ্ব সেরিব্রাল পালসি দিবস-২০২১ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, দেশেই যাতে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা সর্বোত্তম ও সর্বাধুনিক চিকিৎসা পায় সে লক্ষ্যেই এই বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্য পূরণে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ও কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যান্সারের চিকিৎসার বিষয়ে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে রোগীদের ভোগান্তি যেমন কমে আসবে তেমন তারা স্বল্পখরচে উন্নত চিকিৎসাসেবা পাবেন এবং সঙ্গে সঙ্গে অনেক বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে।

উপাচার্য আরও বলেন, জরায়ু-মুখ ক্যান্সার বাংলাদেশে নারীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি ডিএনএ টেস্টের ভূমিকা অনস্বীকার্য। নারীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা ও নারীদের মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা, মহিলাদের জরায়ু মুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর উদ্দেশে কার্যকরভাবে জরায়ু-মুখ ক্যান্সার নির্ণয়ের লক্ষ্যে এইচপিভি ল্যাবের উদ্বোধন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রমুখ। 

বিশ্বব্যাপী সেরিব্রাল পালসি বা সিপিতে আক্রান্ত শিশু ও ব্যক্তিদের অধিকার, সমান সুযোগ-সুবিধা আদায় আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রতি বছর বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও পালিত হয় সিপি দিবস। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘আমাদের অঙ্গীকার, থাকবে না আর জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যানসার, নিরাপদে থাকবে নারী, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ি’।

টিআই/এসএম