করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা রাখা জরুরি বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। একইসঙ্গে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একাডেমিক কোর্সের মেয়াদ ও সিলেবাস কমানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এফডিসিতে ‘করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে কি না’ তা নিয়ে ছায়া সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। গ্রাম পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম ও ভ্যাকসিন প্রদান চালিয়ে যাওয়া উচিত।

তিনি বলেন, আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। এছাড়া এর আওতায় থাকবে ১২-১৮ বছর বয়সীরাও। করোনায় আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে চিকিৎসায় সরকারের সহযোগিতা করা উচিত।

বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের টিকার আওতায় আনতে হবে। সকল শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-কেন্দ্রিক করোনার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে। করোনায় আক্রান্ত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয় ভার সরকার বহন করতে পারলে ভালো হয়।

শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, করোনা থেকে রক্ষার জন্য সেরা ভ্যাকসিন হচ্ছে মাস্ক। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া করোনা রোগীদের তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, তাদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদাসীন ছিলেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুললে করোনাজনিত মৃত্যু অনেকাংশে কমে আসবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রোভার স্কাউট, বিএনসিসিসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীু গ্রুপকে করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে।

টিআই/এসকেডি