টিকা ক্যাম্পেইনের পরিকল্পনার কথা জানালেন স্বাস্থ্যের ডিজি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আগামীকাল (২৮ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে গণ পরিসরে টিকা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এ দিন সকাল ৯টা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত ৭৫ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত জনগোষ্ঠী যাদের ২৫ বছর বা তার বেশি তাদের আজ রাতেই এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। টিকা নিতে আসার সময় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিকা কার্ড সঙ্গে আনতে হবে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় অধিদফতরে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম টিকা ক্যাম্পেইনের পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি বলেন, আগামীকাল (২৮ সেপ্টেম্বর) আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সারা দেশব্যাপী টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ব্যাপক হারে টিকা প্রদানের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এই ক্যাম্পেইনের শুধুমাত্র প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে। একইভাবে আগামী মাসের একই তারিখে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান শুরু হবে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ লাখে পৌঁছানো পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। টিকা প্রদানের পর আমাদের ভ্যাক্সিনেশন টিম কেন্দ্রে এক ঘণ্টা অবস্থান করবে।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, জেলা-উপজেলায় টিকা ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বরতরা টিকা ক্যাম্পেইনের সময় পরিবর্তন করতে পারবেন। বৃষ্টি-বাদল বা অন্যান্য যেকোনো সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে তারা তাদের সুবিধা মতো সময়ে এ কর্মসূচি পালন করতে পারবেন। তবে কোনোভাবেই আমাদের নিয়মিত টিকা কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না। এই ক্যাম্পেইনে আমরা আগে থেকেই নির্ধারিত জনগোষ্ঠী যাদের বয়স ২৫ বছর বা তার বেশি তাদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেবো।
খুরশীদ আলম বলেন, এ ক্ষেত্রে আমরা যাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বয়স্ক, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের আমরা বিশেষ বিবেচনায় আনব। তবে স্তন্যদানকারী মা এবং গর্ভবতীদের টিকা ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা যাবে না। টিকা নেওয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র এবং টিকা কার্ড সঙ্গে আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি ইউনিয়নের একটি করে ওয়ার্ডে বুথ থাকবে। পৌরসভায় একটি ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে একটি বুথ এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বুথের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে। সারাদেশ আগে থেকে যেসব কেন্দ্রগুলোয় টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল, সেগুলোতে টিকাদান অব্যাহত থাকবে। টিকা নিতে অপেক্ষারত বয়স্কদের জন্য বসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং টিকা দেওয়ার পরে প্রত্যেকে নির্দিষ্ট স্থানে কমপক্ষে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করবেন। কেন্দ্রগুলোতে নারীদের জন্য পর্দাসম্বলিত আলাদা টিকার জায়গার ব্যবস্থা করা হবে।
স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, দেশে যখন করোনা মহামারি শুরু হলো, এবং যখন পৃথিবীতে সর্বপ্রথম টিকার অনুমোদন দেওয়া হলো, তখন থেকেই প্রধানমন্ত্রী আমাদের টিকা সংগ্রহের জন্য অনুমতি দিয়ে রেখেছেন। একমাত্র তার কারণেই আমরা সবার আগেই পর্যাপ্ত টিকার ব্যবস্থা করতে পেরেছি।
টিআই/এসকেডি