ফাইল ছবি

প্রাণঘাতী ক্যান্সার, কিডনি সমস্যা ও লিভার সিরোসিসসহ জটিল রোগে আক্রান্ত দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল রোগীদের সমাজকল্যাণ অধিদফতর থেকে সরকারিভাবে এককালীন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহযোগিতা করা হয়।

এক্ষেত্রে নির্ধারিত একটি ফরম পূরণ করে সংশ্লিষ্ট জেলা অথবা উপজেলা সমাজকল্যাণ অফিসে জমা দিলে মিলতে পারে সহায়তা। সকল শর্ত পূরণ করে সহায়তা পাওয়ার জন্য মনোনীত হলে প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগতে পারে আনুমানিক তিন থেকে চার মাস। অর্থাৎ, সহায়তার টাকা পেতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে। 

কারা পাবেন এই সহায়তা

১. ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী

২. কিডনি রোগে আক্রান্ত

৩. লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত 

৪. থ্যালাসেমিয়া রোগী 

৫. জন্মগত হৃদরোগ আক্রান্তরা 

৬. স্ট্রোকে প্যারালাইজড রোগী 

সহায়তা পেতে কীভাবে আবেদন করতে হবে

শুরুতে সমাজকল্যাণ অধিদফতরের নির্ধারিত লিংকে গিয়ে একটি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে হবে। তারপর ফাইলটি ওপেন করে ৬টি পৃষ্ঠা দেখা যাবে। প্রথমেই সেখানের ১ম পৃষ্ঠার দিকনির্দেশনাগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। তারপর বাকি পাঁচটি পৃষ্ঠা ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।

রোগীর নাম, ঠিকানা, বয়স, জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার ও অন্যান্য সকল তথ্য পূরণের পর, পরিশিষ্ট-২ (ক) পৃষ্ঠাটি আবেদনকারীর চিকিৎসক পূরণ করবেন। সেখানে ডাক্তার আবেদনকারীর নাম, রোগের ধরন লিখে দিয়ে নিজের একটি সিল দেবেন।

তারপর পরিশিষ্ট-২ (খ) ফরমটিতে লিখে দিতে হবে যে, আবেদনকারী আগে কিডনি, লিভার বা ক্যান্সার রোগের জন্য সরকার থেকে কোনো সহায়তা নেননি।

পিডিএফ ফাইলের ১ম পৃষ্ঠার নির্দেশনা দেখে ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করার পর সেটি ১ম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তাকে দিয়ে  সত্যায়িত করে জেলা অথবা উপজেলা সমাজকল্যাণ অফিসে জমা দিতে হবে।

অবশ্যই মনে রাখতে হবে, রোগীর নিজ নামে ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে, রোগী নিজ নাম বাদে অন্যকারো একাউন্ট থেকে এই সহায়তার টাকা তোলা যাবে না।

যথাযথভাবে জমা দেয়ার সকল প্রক্রিয়া শেষে টাকা পেতে আনুমানিক ৩-৪ মাসের মতো সময় লাগতে পারে।

উল্লেখ্য, অনলাইনে আবেদন না করে পিডিএফ ডাউনলোড করে ফরম পূরণ করে নিজ জেলা বা উপজেলায় আবেদনপত্র জমা দিলে বেশি দ্রুত সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন http://www.welfaregrant.gov.bd/Home/ApplicationForm। 

টিআই/এইচকে