বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নির্মাণাধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

এদিকে, চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সম্পূর্ণ কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মি. লী জাং-কিউন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন হাসপাতাল পরিদর্শন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য এসব তথ্য জানান।

উপাচার্য জানান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের স্ট্রাকচারাল কার্যক্রম ১০০ শতাংশ, আর্কিটেকচারাল ও সিভিল ওয়ার্ক ৮৫ শতাংশ, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল কার্যক্রম ৮০ শতাংশ, হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেম (এইচআইএস) সহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের ৬০ শতাংশসহ যাবতীয় কার্যক্রমের ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

এসময় উপাচার্য নির্মাণাধীন ৭০০ শয্যা বিশিষ্ট দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যক্রম বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ অর্থাৎ বিজয় দিবসের আগেই শেষ করার জোরালো নির্দেশ দেন। 

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি চালু হলে রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা আরও কমে যাবে। এর মাধ্যমে দেশের চিকিৎসাসেবা খাত আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। দেশের চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি মেডিকেল শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। 
এসময় রাষ্ট্রদূত মি. লী জাং-কিউন বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল শুধু বাংলাদেশ নয়, কোরিয়ার জন্যও অত্যন্ত গৌরব ও মর্যাদাপূর্ণ। হাসপাতালটি বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বহন করবে। সবচাইতে বড় কথা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের মাধ্যমে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ সর্বাধুনিক উন্নত চিকিৎসাসেবা পাবেন।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহাদাত হোসেন, যুগ্ম-সচিব আব্দুস সালাম খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের ঢাকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. জুন সিডাক, উপ-প্রকল্প পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. নূর-ই- এলাহী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিআই/এসএম