ফিস টেস্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ উপাচার্য
ক্যানসার চিকিৎসায় বাংলাদেশের আরও এক ধাপ উন্নতি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্তন ক্যানসার রোগীদের জন্য স্বল্পমূল্যে ফিস টেস্ট চালু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ক্যানসার চিকিৎসায় বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ফিস টেস্ট চালুর মাধ্যমে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের সময় ও অর্থ উভয়ই সাশ্রয় হবে।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএসএমএমইউর প্যাথলজি বিভাগের সাইটোজেনেটিকস ল্যাবে ফিস টেস্টের উদ্বোধনকালে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এইচইআর-২/এনইইউ ফ্লোরেন্সেস ইন সিটু হাইব্রিডাইজেশন (ফিস) টেস্ট চালুর মাধ্যমে মুজিব শতবর্ষে সফলতার পালকে আরও একটি নতুন পালক যুক্ত হলো।
তিনি বলেন, স্তন ক্যানসার নির্ণয় ও চিকিৎসাসেবায় এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে পূর্বের তুলনায় রোগীদের কষ্ট ও ভোগান্তি অনেকটাই লাঘব হবে। সবচেয়ে বড় কথা এই টেস্ট স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের আরোগ্য লাভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
উপাচার্য আরও বলেন, প্যাথলজি বিভাগে ‘ক্যানসার মলিকুলার প্যাথলজি ল্যাবরেটরি’ বাস্তবায়নসহ এ বিভাগে ল্যাবের আধুনিকায়ন ও সামগ্রিক উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগমের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক ডা. জিল্লুর রহমানের উপস্থাপনায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ছাড়াও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. অসীম রঞ্জন বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ক্যানসার চিকিৎসায় ফিস টেস্ট ও মলিকুলার প্যাথলজি ল্যাব স্থাপনের গুরুত্ব উপস্থাপন করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী। এ টেস্টটি চালুর ক্ষেত্রে প্যাথলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ কে এম নূরুল কবির, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মশিউর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডা. তাসমিনা আনাম ও সাইন্টিফিক অফিসার এস.এম শহিদুল আসলাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
টিআই/এসকেডি