প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেওয়া টিকা আগামী ২০ জানুয়ারি (বুধবার) আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।

করোনা প্রতিরোধে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের উপহার ভ্যাকসিন আসবে ২০ জানুয়ারি। সেরামের ভ্যাকসিনের ২০ লাখ ডোজ দেবে দেশটি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম

এরইমধ্যে ভ্যাকসিন আনার অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর, বলেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক।

কারা এই টিকা পাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা আমাদের আগেই করা আছে। সে অনুযায়ীই এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

ভারত থেকেও আসবে ‘উপহার’ টিকা

সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভারত আমাদের জানিয়েছে শিগগিরই এ উপহারের টিকা দেশে আসবে। হতে পারে যে সেরামের প্রথম ধাপের টিকা আসার আগেই তা চলে আসতে পারে।

করোনাকালীন যেসব সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, প্রতিটি সাংবাদিকই ভ্যাকসিন পাবেন জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকায় যারা আছেন, তারা দ্রুতই ভ্যাকসিন পাবেন। পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ের সব সাংবাদিকরাও ভ্যাকসিন পাবেন।

করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার সক্ষম হয়েছে

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এরইমধ্যে আমরা করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য সবাই কাজ করছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও অনেক কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, করোনায় অসংখ্য চিকিৎসক-নার্সের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও প্রাণ হারিয়েছেন। সর্বশেষ বরেণ্য সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান মারা গেছেন, শুরুর দিকে সাংবাদিক হুমায়ুন কবির মারা যান। সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার সক্ষম হয়েছে। গত দুই দিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সেই চিঠিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সক্ষম হয়েছে জানিয়ে প্রসংশা করা হয়েছে। করোনার মতো টিকা সংরক্ষণ ও বিতরণ সঠিকভাবে করতে পারবো বলেও তারা আাশা প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, শুরুতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সংকট দেখা দিলেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করা হচ্ছে।

দেশে করোনোর দ্বিতীয় ঢেউ কবে আসছে কেউ জানে না

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভ বাংলাদেশে কবে শুরু হয়েছে তা বুঝতে পারেননি মন্তব্য করে জাহিদ মালেক বলেন, অন্যান্য দেশগুলোতে সেকেন্ড ওয়েভে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়লেও আমাদের দুটি সংখ্যাই কমে গেছে।

মন্ত্রী বলেন, আমেরিকা-ইউরোপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাদের হাসপাতালগুলোতে সিট পায় যায়নি। এমন পরিস্থিতি মধ্যে বাংলাদেশ অনেক ভালো রয়েছে। করোনার শনাক্তের হার ৫ শনাক্তের নিচে নেমে আসছে, মৃত্যুহারও কমে আসবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, করোনার মধ্যে সবচেয়ে ভাল কাজ করেছে টেলিমেডিসিন, লকডাউনের মধ্যে জেলা উপজেলা রোগী ঘরে ঘরে চিকিৎসা পোঁছে দিয়েছি। এখনও এ কাজ চলছে।


টিআই/জেডএস