দেশে গত কয়েক দিন ধরে করোনা সংক্রমণের গতি কিছুটা নিম্নমুখী। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবচেয়ে কম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এ বিভাগে নতুন রোগী কমেছে ৪২ শতাংশ।

এদিকে রাজধানী ঢাকায় রোগী শনাক্তের হার কমেছে ১৮ শতাংশ। আর বরিশাল বিভাগে কমেছে ৩৬ শতাংশ।

বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে দেশের সার্বিক করোনা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান অধিদফতরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত সাত দিনের সংক্রমণ পরিস্থিতি যদি দেখি, তাহলে ১১ আগস্ট যেখানে সংক্রমণের হার ছিল ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ, সেখানে শতকরা হিসেবে গতকাল পর্যন্ত আমরা দেখেছি ১৯ শতাংশের সামান্য একটু বেশি। সামগ্রিকভাবে গত ৩০ দিনের যে সংক্রমণ চিত্রটি ছিল, শেষের দিকে এসে আমরা দেখলাম খানিকটা কমেছে।

তিনি বলেন, মাসভিত্তিক যদি আমরা সংক্রমণের চিত্রটি দেখি, সবচেয়ে কম সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসে। ওই মাসে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছিলাম ১ হাজার ৭৭ জন রোগী। তার বিপরীতে জুলাই মাসে আমরা সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখেছি। ওই মাসে সারাদেশে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ২২৬ জন রোগী আমরা শনাক্ত করতে পেরেছিলাম। আগস্ট মাসের ১৭ তারিখ পর্যন্ত ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

রোগী বাড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি যদি সব জায়গায় আমরা সঠিকভাবে প্রতিপালন করতে পারি, তাহলে রোগীর সংখ্যা বাড়বে না। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে যদি আমরা নিজেদের মতোই চলাফেরা করি, তাহলে রোগী বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

নিবন্ধন করে টিকা না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, টিকা পাওয়ার জন্য যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তারা আগেই টিকা পাবেন। সে অনুযায়ী এসএমএস দেওয়া হবে। যে পরিমাণ মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধিত হয়েছে, সে সংখ্যাটি অনেক বেশি। আবার মাঝখানে দীর্ঘদিন আমরা টিকা স্বল্পতার কারণে টিকা প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যেতে পারিনি। সবমিলিয়ে আমাদের ওপর একটু চাপ আছে। কিন্তু আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি সে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে।

টিআই/এসকেডি