দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণে তিন হাজার ১০১ জন চিকিৎসক, দুই হাজার ২৬২ জন নার্স এবং চার হাজার ১০ জন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট নয় হাজার ৩৭৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।

পেশাজীবী চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এই তথ্য জানিয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সংগঠনটির সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএমএ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ১০১ জন চিকিৎসক। সারাদেশের ৬৭ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা জেলায় ৮৬২ জন। এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলায় ৪৯২ জন, সিলেট জেলায় ৩৪৯ জন, ময়মনসিংহ জেলায় ১৪৩ জন, কুমিল্লায় ১৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত নার্সের সংখ্যা দুই হাজার ২৬২ জন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকায় ৮২৭ জন, এরপর ১৬৪ জন ময়মনসিংহ জেলায়, ৮৯ জন বরিশাল জেলায়। এছাড়াও চার হাজার ১০ জন অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট নয় হাজার ৩৭৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনায় না ফেরার দেশে ১৮৩ চিকিৎসক

দেশে এ পর্যন্ত ১৮০ জন মেডিকেল ও ৩ জন ডেন্টাল সার্জনসহ মোট ১৮৩ জন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল চিকিৎসক ২৫ জন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ৭৮ জন, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত/অবসরপ্রাপ্ত ৭ জন, বেসরকারি/জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স ৬৯ জন এবং আর্মি মেডিকেল কলেজে কর্মরত একজন রয়েছেন।

এছাড়াও ডেন্টাল চিকিৎসকদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা দুই জন এবং বেসরকারি/জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স রয়েছেন একজন।

করোনায় দেশে প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিল গত বছরের ১৫ এপ্রিল। ওইদিন মারা যান সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দীন আহমদ (৪৭)। ডা. মঈন উদ্দীন আহমেদ করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়েই সংক্রমিত হয়েছিলেন। এরপর ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

সর্বশেষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ডা. আতিক উল্লাহ লেনিন (৪৬) নামের এক চিকিৎসক। রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। ৮ আগস্ট দুপুর পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন (আইসিইউ) অবস্থায় তিনি মারা যান।

টিআই/জেডএস