স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে ১০ জেলায়। জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। গত জানুয়ারি থেকে জনু পর্যন্ত ছয় মাসের নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তকরণের হার বিবেচনায় এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বুধবার (২১ জুলাই) দুপুরে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসে এসব তথ্য জানান অধিদফতরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত ছয় মাসে আমরা যেসব রোগী পেয়েছি তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে দেশের ১০ জেলায়। জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকায়। এ জেলায় চার লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা। এ জেলায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৮ হাজার ৯০৭ জন। এরপর কুমিল্লার জেলার অবস্থান। এখানে শনাক্তের সংখ্যা ২৩ হাজার ২৩০ জন।

এছাড়া বগুড়া জেলায় ১৯ হাজার ৭৪৬ জন, সিলেটে ১৯ হাজার ৯৮০ জন, নারায়ণগঞ্জে ১৯ হাজার ৬৩ জন, রাজশাহীতে ১৮ হাজার ১৪৫ জন, খুলনায় ১৯ হাজার ১০৩ জন, ফরিদপুরে ১৭ হাজার ৯৮৯ জন এবং গাজীপুরে ১৭ হাজার ৮০৬ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত আমার যদি সংক্রমণের চিত্রটি দেখি তাহলে লক্ষ্য করা যায় যে, জানুয়ারিতে দেশে ২১ হাজার ৬২৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে তা কমে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৭৭ জনে। মার্চেও করোনা রোগীর সংখ্যা কম ছিল। তবে দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের পর জুন মাসে রোগী শনাক্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। জুলাইয়ে আরও বাড়বে বলেও শঙ্কা রয়েছে।

স্বাস্থ্যের মুখপাত্র বলেন, ঈদে স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে দোকানপাট, শপিং কমপ্লেক্স, গণপরিবহনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের কাজগুলো করে যেতে হবে। এটি শুধু নিজের জন্য নয়, নিজের পরিবার ও দেশের নিরাপত্তার জন্য মানতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ যেটি আরোপ করা হবে, সেক্ষেত্রেও সবাইকে দায়িত্ববান হতে হবে। আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ববান আচরণ করতে হবে। তা হলেই আমাদের কর্মসূচিগুলো সফলতার মুখ দেখবে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানি হচ্ছে। তবে এ কোরবানির সময় প্রয়োজন ছাড়া অধিক লোক সমবেত না হওয়াই ভালো। কোরবানির মাংস সংগ্রহের জন্য যত কম লোক চলাফেরা করেন, ততই ভালো। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোনো ক্রমেই যেন একসঙ্গে অনেক লোক জড়ো না হয়।

টিআই/এমএআর/