বেসরকারি পর্যায়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফি (আরটি-পিসিআর) দেড় হাজার টাকার মধ্যে নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। প্রয়োজনীয় কিটের দাম আরও হ্রাস পাওয়ায় আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মূল্য কমিয়ে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণের পরামর্শ দেয় কমিটি।

যদিও করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত, বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার ফি দুই হাজার ৫০০ টাকা, সাধারণ জনগণের করোনা পরীক্ষার ফি তিন হাজার টাকা, আর বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করলে তিন হাজার ৫০০ টাকা এখনও আদায় করা হচ্ছে।  

বুধবার (১৪ জুলাই) জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য উল্লেখ করে করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার সারাদেশে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করছে, যা সন্তোষজনক। জাতীয় পরামর্শক কমিটির পূর্ববর্তী সভার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি পর্যায়ে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মূল্য পুনর্নির্ধারণ করায় সভায় সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা আরও বৃদ্ধির জন্য বেসরকারি পর্যায়েও টেস্ট বৃদ্ধি প্রয়োজন, এ লক্ষ্যে টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় কিটের দাম আরও হ্রাস পাওয়ায় আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মূল্য কমিয়ে ১০০০-১৫০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ পরামর্শ দেয়া হয়।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কোরবানির পশুর হাট বন্ধসহ আরও ১৪ দিন কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় লকডাউন শিথিল করার সরকারি সিদ্ধান্ত গভীর উদ্বেগের।

একে/এসকেডি