করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কোরবানির পশুর হাট বন্ধসহ আরও ১৪ দিন কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তবে সরকার লকডাউন শিথিল করে সীমিত পরিসরে পশুর হাট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিলে সেক্ষেত্রে সংক্রমণ প্রতিরোধে ৯টি বিধিনিষেধ প্রয়োগের সুপারিশ করে কমিটি। 

বুধবার (১৪ জুলাই) জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাইয়ের তৃতীয়/চতুর্থ সপ্তাহে দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে, তাই কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে নিম্ন লিখিত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি : 

১. শহর এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসার অনুমতি না দেওয়া।

২. শারীরিক দূরত্ব এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে উন্মুক্ত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

৩. বয়স্ক ব্যক্তি (৫০ বছর বা তার বেশি) এবং অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কোরবানির হাটে না যাওয়া।

৪. হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য নির্দিষ্টভাবে আলাদা পথ রাখা।

৫. হাটে আসা সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা।

৬. জনসাধারণকে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে, যে যেখানে আছেন সেখানে অবস্থান করার বিষয়ে উৎসাহিত করা।

৭. জনসাধারণের অনলাইন কোরবানির হাটের সুবিধা গ্রহণে উৎসাহিত করা।

৮. বাড়ির আঙিনায় কোরবানি না করে, সিটি করপোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করা।

৯. ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত যেভাবে আয়োজন করা হয়েছিল, এবারও তেমনিভাবে ঈদুল আজহার জামাত আয়োজন করা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় লকডাউন শিথিল করার সরকারি সিদ্ধান্ত গভীর উদ্বেগের।

টিআই/এসকেডি