বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পূর্ণাঙ্গরূপে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন (বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যানটেশন) চালুর নির্দেশনা দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। 

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি-ব্লকে হেমাটোলজি বিভাগের ‘সেন্টার ফর ব্লাড, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যানটেশন অ্যান্ড স্টেম সেল থেরাপি’ পরিদর্শনকালে তিনি এই নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যানটেশন প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কাজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে গবেষণার বিকল্প নেই। গবেষণাকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে। 

তিনি বলেন, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণার গুণগত মানের উন্নয়ন সাধনে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে বলেও জানান বিএসএমএমইউ ভিসি। 

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, নার্সিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহ উদ্দীন শাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে উপাচার্যের কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নিকট করোনা সুরক্ষাসামগ্রী, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান মুজিব বাহিনীর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুল হাই, মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. একেএম শরীফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফাইজারের টিকা নিলেন ১০৩৮ জন

এদিকে, বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে আজ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত ১ লাখ ৬২ হাজার ৭৬৭ জনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বেতার ভবনের ফিভার ক্লিনিকে ১ লক্ষ ৫ হাজার ৯৫৫ জন রোগী সেবা নিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আজ (১৩ জুলাই) ১ হাজার ৩৮ জনসহ এ পর্যন্ত ফাইজারের টিকা নিয়েছেন ৮ হাজার ৪ শত ৩০ জন। সবমিলিয়ে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৬ হাজার ৪ শত ২০ জন এবং গত ৭ জুলাই পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন ৪৮ হাজার ২১৬ জন।

টিআই/এইচকে