সিভিল সার্জন ছাড়া অন্য কাউকে গণমাধ্যমে কথা না বলার নির্দেশ
ঢাকা জেলাধীন সরকারি হাসপাতালসমূহে রােগীর সেবা সম্পর্কিত ও স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকাণ্ড নিয়ে সিভিল সার্জন ছাড়া অন্য কাউকে গণমাধ্যমে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হােসেন মাে. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, ঢাকা জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানাে যাচ্ছে যে, বিরাজমান কোভিড-১৯ মহামারিকালীন পরিস্থিতিতে সিভিল সার্জন ব্যতীত অন্য কাউকে টিভি চ্যানেল কিংবা কোনো প্রকার প্রিন্ট মিডিয়ার নিকট স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কর্মকাণ্ড অথবা রােগ ও রােগীদের সম্পর্কে কোনো ধরনের তথ্য আদান-প্রদান বা মন্তব্য না দেওয়ার জন্য অনুরােধ করা যাচ্ছে। একইসঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীদের রােগীর ছবি তােলা, ভিডিও করা অথবা সাক্ষাৎকার ধারণ করা থেকে বিরত থাকার নিমিত্তে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালে গিয়ে রােগীর ছবি তােলা ও ভিডিও করা রােগীর ব্যক্তিগত গােপনীয়তা লঙ্ঘনের সামিল। তাই এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য উপাত্ত নেওয়ার প্রয়ােজন হলে সরাসরি ঢাকা জেলা সিভিল সার্জনের সঙ্গে যােগাযােগ করার জন্য অনুরােধ করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ঢাকা সিভিল সার্জনের অধীনে পাঁচটি উপজেলায় পাঁচটি হাসপাতাল রয়েছে। শুধু এই হাসপাতালগুলোর জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটা রাজধানীর জন্য প্রযোজ্য নয়।
হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবেই এমন পরিস্থিতি থাকে যে, রোগীরা অক্সিজেন নিচ্ছে অথবা বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। এমন ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়। এমনকি তথ্য বিভ্রাট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই ঢাকা সিভিল সার্জনের কাছ থেকে তথ্য নিতে বলা হয়েছে।
টিআই/এসকেডি