স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

করোনাভাইরাসের টিকা পেতে সবাইকে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কনফারেন্স রুমে ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা’ নিয়ে আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফেব্রুয়ারি মাসেই দেশে আসছে সেরাম ইনস্টিটিউটের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। এর মধ্যেই সংশ্লিষ্ট সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সরকার সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে কাজ করছে জানিয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘প্রথম অবস্থায় দেড় কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। টিকা পেতে অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। এর জন্য সফটওয়্যার উন্নয়নের কাজ চলছে।’

প্রথম মাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে, তাদের অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে কাজ চলছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ফার্মাকোলজিক্যাল সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, কোভিড ভ্যাকসিন আজীবন প্রতিরোধ নিশ্চিত করবে না। তাই, টিকা আবিষ্কারে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

সায়েদুর রহমান বলেন, নিজেরা ভ্যাকসিন উৎপাদন করা যায় কি না সেটা এখনই ভাবতে হবে। তা না হলে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে সরকারের বাজেটের বড় অংশ চলে যাবে এই খাতে।

তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ দেশেই দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও জার্মানভিত্তিক বায়োএনটেক উদ্ভাবিত। এছাড়া প্রয়োগের পর্যায়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক ওষুধ প্রতিষ্ঠান মডার্নার টিকা। করোনা প্রতিরোধে কার্যকর টিকা এনেছে রাশিয়া, চীনও। কিন্তু বাংলাদেশ আস্থা রাখছে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত টিকার ওপর। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে আপাতত এই টিকার তিন কোটি ডোজ দেশে আনার সব প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন করেছে সরকার। এবার শুধু টিকা আসার পালা।

টিকা বণ্টন ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠেছে ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার বিষয়টি। বিষয়গুলো নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন, কৌতুহল, সংশয় বড় হয়ে উঠছে। ভ্যাকসিন কারা পাবে তা বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু বণ্টন করতে হবে, যাতে বিষয়টি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খোরশেদ আলম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএমএর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অধ্যাপক ডা এম এ ফয়েজ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার এম ইকবাল আর্সলান।

টিআই/জেডএস