টিকার জন্য চীনকে অনেক মানাতে হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চীনের সিনোফার্মের করোনাভাইরাসের টিকা ক্রয় ও দেশেই তা উৎপাদনের জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে নন-ডিজক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টে (এনডিএ) সই হলেও দাম জনসম্মুখে আসায় বাংলাদেশের প্রতি চীনের ক্ষোভ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সেজন্য তাদের অনেক মানাতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, চীনের টিকার দামটি যখন জনসম্মুখে চলে এলো এবং সবাই জানলো, সে কারণে চীনের আমাদের প্রতি ক্ষোভ রয়েছে। যেহেতু আমরা নন-ডিসক্লোজারে সই করেছিলাম। নন-ডিসক্লোজার হলো এক রাষ্ট্রের কাছে আরেক রাষ্ট্রের কমিটম্যান্ট। আমরা গোপন রাখবো- এ চুক্তি আমরা করেছি। সে চুক্তি যদি ভঙ্গ করি তাহলে এক রাষ্ট্র আরেক রাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করা হয়।'
‘এর ফলে কী হয়েছে? এখন আমাদের টিকা পেতে দেরি হচ্ছে। তাদের অনেক মানাতে হচ্ছে, কথাবার্তা বলতে হচ্ছে। আমরা হয়তো অনেক আগেই পেয়ে যেতাম, কিন্তু এইটুকু কারণে দেরি হয়ে গেল। আর কত দেরি হবে সেটিও বুঝতে পারছি না।'
বাংলাদেশি কোম্পানি গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য টিকার সর্বশেষ অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'টিকা একটা খুবই হাই টেকনোলজি। যে কোম্পানিগুলো আছে তাদের আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করছি। তবে তাদের টিকার অনুমোদনের যে প্রক্রিয়া বা স্টেপগুলো আছে তা কমপ্লিট করতে আমাদের কাছে আসতে হবে।'
তিনি বলেন, 'যে প্রোটোকলগুলো এখনো কমপ্লিট হয়নি, যে প্রোটোকলগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সেগুলো কমপ্লিট না করে এলে আপনি কখনোই টিকা দিতে পারবেন না। আমরা আমাদের মানুষকে তো ঝুঁকিতে ফেলতে পারবো না।'
'আমাদের কাজগুলো যদি কমপ্লিট করে আসে এবং সেগুলো যদি সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে সঠিকভাবে একসেপ্টেড হয় তখন ট্রায়ালের অনুমোদন পাবে।'
এসএইচআর/এসএম