প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিনদিন আরও বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি মোকাবিলা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসে অধিদফতরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো সেটি নির্ভর করবে বিদ্যমান যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রয়েছে, সে অনুপাতে রোগীর সংখ্যার ওপর। আমাদের যা সক্ষমতা রয়েছে, এ মুহূর্তে কোভিড ডেডিকেটেড ৭ হাজার শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। সেখানে যদি রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার হয়ে যায়, তাহলেই সেটি নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।

ঢাকায় সংক্রমণের হার প্রসঙ্গে নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা যদি শতকরা হারে বিবেচনা করি ঢাকা শহরে গড়ে এখনও সংক্রমণ ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টার করোনা সংক্রান্ত ফলাফল দেখলে দেখা যায় যে আমাদের সংক্রমণ এখন ৬ শতাংশের নিচে আছে।

টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অক্সফোর্ডের টিকা সংকট থাকায় আপনারা জানেন যে প্রথম ডোজটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। আমরা আশা করছি ফাইজার এবং সিনোফার্মের দিয়ে টিকা দিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকেই আবার প্রথম ডোজটি শুরু করতে পারব। টিকা সরবরাহ অব্যাহত থাকলে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরে চালিয়ে যেতে পারবো। আরেকটি ভালো খবর হলো, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা জরুরি ব্যবহারে নৈতিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ৬টি টিকাকে দেশে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ যে উৎস থেকেই টিকা আসুক না কেন, সেটাই আমরা মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারব বলে আশা করি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই মুখপাত্র বলেন, যাদের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার পরে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ সময় পার হয়ে গেছে, আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। তাদের যে মানসিক কষ্ট ও যন্ত্রণা হচ্ছে, সেটি লাঘব করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। টিকার সংগ্রহের জন্য আমরা বিভিন্ন দেশ এবং সংগঠনের সঙ্গে সরকার অত্যন্ত কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপন করেছে, আমরা আশাবাদী যে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ঘাটতি রয়েছে, সেই টিকাটি আমরা পেয়ে যাব। আর এই মুহূর্তে যেহেতু আমাদের কোনো বিকল্প নেই, যখনই টিকাটি পাওয়া যাবে তখন ওই টিকা দিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করব এবং তারা সেটি পেয়ে যাবেন।

টিআই/এসএম