প্রতীকী ছবি।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা গ্রহণেচ্ছু পূর্বে নিবন্ধনকারীদের মধ্যে যারা এখনও টিকা পায়নি তাদেরকে ফাইজারের এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘টিকা নেওয়ার জন্য পূর্বে যারা নিবন্ধন করে রেখেছিলেন কিন্তু এখনও কোনো কোম্পানির টিকা পাননি, তাদেরকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে কোনো সিনিয়র চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী যদি এখনও কোনো টিকা না পেয়ে থাকেন, তাদেরও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেওয়া হবে।’

‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে চাপ রয়েছে, তাই শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে কি না’ জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, ‘ফাইজারের টিকা মাত্র ৫০ হাজার মানুষকে দেওয়া যাবে। এত অল্প টিকা দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকাদানের আওতায় আনা সম্ভব না। তাদের আমরা চীনের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে ভাবছি।’ 

আরও পড়ুন : টিকা দিয়েই খুলবে হল-বিশ্ববিদ্যালয়

খুরশীদ আলম বলেন, ‘চীনের কিছু টিকা আমাদের হাতে রয়েছে। তাদের থেকে উপহার হিসেবে আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা এ মাসেই আসার কথা। এ টিকা হাতে পেলে আমরা শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু করব।’

এর আগে সোমবার (৩১ মে) রাতে ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজারের টিকা ঢাকায় এসেছে। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই টিকা মূলত ঢাকা শহরের মানুষকে দেওয়া হবে। ঢাকার চারটি কেন্দ্রে এ টিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রগুলোর নাম খুব দ্রুতই জানিয়ে দেওয়া হবে। কারণ এই টিকার কোল্ড চেইন ব্যবস্থাপনা পুরো দেশে নেই।

এই টিকা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। এই তাপমাত্রার সংরক্ষণ পাত্র দেশে খুব কম আছে। ইপিআইয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান (আইপিএইচ), রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে এই টিকা রাখার মতো উপযুক্ত পাত্র আছে।

টিআই/এইচকে