বেক্সিমকো ফার্মা ও ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউট

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের টিকা পেতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটকে অগ্রিম ৬০ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৫১০ কোটি ৩০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা দরে)।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা।

তিনি বলেন, দুপুরে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ৬০ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের কোভিড-১৯ টিকা রপ্তানি নিয়ে জটিলতার পর মঙ্গলবার টুইট করে সেরামের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, ’সব দেশে টিকা রপ্তানির অনুমোদন রয়েছে।’

ভারতের চাহিদা পূরণের জন্য অনুমোদনের পর দুই মাস কোনো দেশে টিকা রপ্তানি করা হবে না— সোমবার আদর পুনাওয়ালার বরাতে এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সেরামের টিকা রপ্তানি নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। 

এমন জটিলতার মধ্যে নিজেদের উৎপাদিত টিকা রপ্তানি নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য মঙ্গলবার সেরামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টুইট বার্তায় টিকা রপ্তানি নিয়ে তার প্রতিষ্ঠানের অবস্থান স্পষ্ট করলেন। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশে ভারতের করোনা টিকা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, সেরামের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছে যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমাদের দেশ থেকে অনুমোদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিন পেয়ে যাব।

পাপন আরও বলেছেন, সেরামের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে, এটা একটি আন্তর্জাতিক মানের চুক্তি। সুতরাং এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমরা চিন্তিত নই।

জানা যায়, চুক্তি অনুযায়ী ছয় ধাপে ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। ৫০ লাখ করে ৬ মাসে মোট ৩ কোটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকা ভারতে উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। ওই টিকা কেনার জন্য বাংলাদেশ সরকার গত ১৩ ডিসেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন রপ্তানিতে ভারতের পক্ষ থেকে ‘নিষেধাজ্ঞা’ দেয়া হয়েছে বলে সোমবার (৪ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিকসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলো ‘আপাতত পাচ্ছে না’ বলেও উল্লেখ করা হয়। এমন খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মহল থেকে ভারত সরকার ও সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

টিআই/এসএম