জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার ও বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারকে- ক্যাডার কাঠামোর বাইরে রাখার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করেছে বিসিএস হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশন।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিসিএস হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন ও সদস্য সচিব উম্মে তানিয়া নাসরিন স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার ও বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারকে, ক্যাডার কাঠামোর বাইরে রাখার সুপারিশ করতে যাচ্ছে। বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের ৩৫ হাজার সদস্যের মুখপাত্র বিসিএস হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশন এ ধরনের একতরফা সংস্কার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে।

স্বাস্থ্যের নীতিনির্ধারণী পর্যায়সমূহে পুরোপুরি অনভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের পদায়ন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বিজ্ঞানভিত্তিক ও যুগোপযোগী না করে উল্টো পথে হেঁটে আমলাতান্ত্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কায়েম করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ও নীতিনির্ধারণী পদসমূহে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্বাস্থ্য ক্যাডারের দক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন করে প্রকৃত বিজ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব।

বার্তায় আরও বলা হয়, সংস্কারের মাধ্যমে সব বৈষম্য নিরসন, গতিশীল ও জনবান্ধব জনপ্রশাসন তৈরির লক্ষ্যে গঠিত সংস্কার কমিশন প্রকৃত সংস্কার প্রস্তাবনা বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকে ক্যাডার বহির্ভূত করার যে হঠকারী সুপারিশ করেছেন। তা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেধাভিত্তিক জনপ্রশাসন তৈরি ও বৈষম্য বিরোধী মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই সুপারিশ প্রত্যাহার করা না হলে প্রশাসনিক সংস্কার ব্যর্থ হবে। 

সংস্কার কমিশন কর্তৃক বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনোরূপ আলোচনা ব্যতীত এমন প্রস্তাবনা তৈরি এবং গণমাধ্যমে এক তরফাভাবে প্রচার করা সুবিবেচনা প্রসূত নয়। এতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত দক্ষতার সুস্পষ্ট ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও জনগণের প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিতে পারে। যেকোনো ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতির কোনোরূপ দায়ভার বিসিএস হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশন বহন করবে না। 

আমরা সংস্কার কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই, তবে দুরভিসন্ধিমূলক সুপারিশকে সংস্কার প্রস্তাব হিসেবে মানা হবে না। হেলথ ক্যাডারের সঙ্গে আলোচনা ব্যতীত কোনো সংস্কার প্রস্তাব মেনে নেওয়া হবে না।

ওএফএ/এমএসএ