দেশ শাসন কে করবে, তা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে যে কাকে ভোট দেবে, কে দেশ শাসন করবে। সংস্কার হবেই, তবে তাতে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকবে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ন্যাব) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নার্সেস ও স্বাস্থ্য সহকারী সহ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, ড্যাব সভাপতি হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
জাহিদ হোসেন বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস নিয়ে অনেকেই বলেছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে আজকের আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করছে কালকের সূর্যোদয় কেমন হবে। আমরা যদি ১৯৪৭ অস্বীকার করি, ১৯৫২ হবে না, ৫২ না হলে ১৯৬২ হবে না। ১৯৬২ না হলে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান হবে না। গণঅভ্যুত্থান না হলে ১৯৭১ এবং ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন হবে না। মেজর জিয়াউর রহমান অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। তিনি কিন্তু আত্মসমর্পণ করেননি। জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলা এবং ইংরেজিতে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। সারা বাংলাদেশের মানুষ জিয়াউর রহমানের ওপর নির্ভর করেছেন। যে বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষ দেখেছে, সেই বাংলাদেশ চাল রপ্তানি করেছে। সাড়ে চার বছর যিনি রাষ্ট্র পরিচালনার সময় পেয়েছেন, কোনদিকে তিনি হাত দেননি। নার্সিং ইন্সটিটিউট থেকে শুরু করে শিশু একাডেমি, একুশে পদক, নারী উন্নয়ন, যুবকদের দেশ গঠনে কাজে লাগানো সব করেছেন জিয়াউর রহমান।
বক্তব্যে ন্যাবের সভাপতি জাহানারা খাতুন বলেন, আমি সব সময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভক্ত ছিলাম। তিনি নার্সিং ইনস্টিটিউট করে দিয়েছিলেন প্রায় প্রত্যেকটি জেলায়। তিনি নার্সিং স্বর্ণপদক চালু করেছিলেন। যেটি এখন বন্ধ। আমরা চাই নার্সিং ইনস্টিটিউট একসঙ্গে কাজ করুক। আবার আমরা যেন দেশের জন্য কাজ করতে পারি।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ৭ নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব সিপাহী জনতার বিপ্লব। সে সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছিল মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছিল ৭ নভেম্বরের বিপ্লব। রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান সে সময় স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। নার্সিং ইনস্টিটিউট করেছেন। আপনারা দেখবেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এখনো ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপনারা একটু সাবধানে পা ফেলেন। যারা ফ্যাসিস্ট সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে আমরা তাদের অপসারণ চাই।
ওএফএ/এসএম