জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সাবেক সিনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ হারুন / ঢাকা পোস্ট

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হঠাৎ করে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) নিজের ক্ষমতা দেখাতে শুরু করেন হাসপাতালটির সাবেক সিনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ হারুন। অন্তর্বর্তী সরকারে ‘পাওয়ারফুল’ লোক থাকার কথা জানান দিয়ে হাসপাতালটিতে শুরু করেন তুঘলকি কাণ্ড। পরিচালক থেকে শুরু করে কর্মচারীদের সঙ্গেও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের অভিযোগ ওঠে এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অবশেষে তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে ডা. হারুনকে বরগুনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বদলি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ডা. ইউসুফ হারুনের উদ্ভট কর্মকাণ্ড এখানেই শেষ নয়। সর্বশেষে শাস্তিমূলক বদলি থেকে বাঁচতে প্রথমে নিজেকে একবার জামায়াতপন্থী এবং পরবর্তীতে বিএনপিপন্থি চিকিৎসক বলেও পরিচয় দেন। তবে, উভয় দলের চিকিৎসক নেতারা তাকে ‘নিজ দলের কর্মী নয়’ বলে দাবি করেন।

শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গত ২৭ অক্টোবর ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ হারুনকে নিটোর থেকে বরগুনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বদলি করা হয়। বদলির প্রজ্ঞাপনে তাকে অনতিবিলম্বে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্বভার হস্তান্তরপূর্বক পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়। অন্যথায় ২৮ অক্টোবর অপরাহ্ণে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন। তবে, বদলির আদেশের আজ (৭ নভেম্বর) ১১ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত তিনি তার নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি

জানা গেছে, শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গত ২৭ অক্টোবর ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ হারুনকে নিটোর থেকে বরগুনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বদলি করা হয়। বদলির প্রজ্ঞাপনে তাকে অনতিবিলম্বে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্বভার হস্তান্তরপূর্বক পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়। অন্যথায় ২৮ অক্টোবর অপরাহ্ণে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন। তবে, বদলির আদেশের আজ (৭ নভেম্বর) ১১ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত তিনি তার নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি।

ক্ষমতার পালাবদলের পর আমূল পাল্টে যান ডা. হারুন

হাসপাতালের একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর আমূল পাল্টে যান ডা. হারুন। যদিও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে তার সখ্যতা ছিল। একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে তার ছবিও আছে। দুবার পদোন্নতিও পেয়েছেন। ঠিক কী কারণে তিনি এমনটা করছেন, তার সদুত্তর পাওয়া না গেলেও নিটোরের একাধিক সূত্র বলছে, বর্তমান পরিচালকের মেয়াদ আছে আর চার মাস। এরপর যারা পরিচালক হওয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের কারও ইন্ধন ও প্ররোচনায় তিনি এমন কাজ করে থাকতে পারেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের এক চিকিৎসক ঢাকা পোস্টকে বলেন, চাকরির শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করার অভিযোগে ডা. হারুনকে বরগুনা জেলা হাসপাতালে বদলি করা হলেও তিনি সেখানে যোগদান করেননি। উল্টো নিটোরে এসে সহকর্মী চিকিৎসকসহ হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে তিনি দুর্ব্যবহার করছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে হাসপাতালটির চিকিৎসাসেবা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

 গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর আমূল পাল্টে যান ডা. হারুন। যদিও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে তার সখ্যতা ছিল। একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে তার ছবিও আছে। দুবার পদোন্নতিও পেয়েছেন। ঠিক কী কারণে তিনি এমনটা করছেন, তার সদুত্তর পাওয়া না গেলেও নিটোরের একাধিক সূত্র বলছে, বর্তমান পরিচালকের মেয়াদ আছে আর চার মাস। এরপর যারা পরিচালক হওয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের কারও ইন্ধন ও প্ররোচনায় তিনি এমন কাজ করে থাকতে পারেন

তিনি আরও বলেন, ডা. হারুনকে কোনোদিন ড্যাব বা এনডিএফের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে দেখিনি। উল্টো তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর হঠাৎ কেন তিনি এভাবে বদলে গেলেন, তার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। তবে, শুনেছি তিনি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের ঘনিষ্ঠ বলে বিভিন্নজনের কাছে পরিচয় দিয়েছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সামনেই অসদাচরণ, ব্যবস্থা নিতে সচিবকে চিঠি

নিটোর সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে যারা আহত হয়ে নিটোরে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি আছেন, তাদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে গত ১৫ অক্টোবর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সেখানে যান। সে সময় নিটোরের পরিচালকসহ হাসপাতালের দায়িত্বশীল চিকিৎসক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে উপদেষ্টাকে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে অবহিত করেন। এরপর উপদেষ্টা আহতদের সুচিকিৎসার বিষয়ে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এমন সময় সিনিয়র ডাক্তার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ডা. ইউসুফ হারুন উপদেষ্টার কাছাকাছি আসার উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে গালিগালাজ শুরু করেন, যাতে হাসপাতালের চিকিৎসাব্যবস্থা মারাত্মক ব্যাহত হয়।

বিষয়টি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নজরে এলে তিনি তার পরিচয় সম্পর্কে জানতে চান। তখন উপস্থিত চিকিৎসকরা বিষয়টি উপদেষ্টাকে জানান যে, ডা. ইউসুফ হারুন আপনার নিজ জেলার বাসিন্দা এবং আপনার ‘ঘনিষ্ঠ’, এই পরিচয় দিয়ে গত ২০-২৫ দিন ধরে হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের সঙ্গে ক্ষমতা প্রদর্শন, মারধরসহ দুর্ব্যবহার করে আসছেন। ওই ঘটনার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. সামিউল মাসুদ গত ১৭ অক্টোবর দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে চিঠি দেন।

চিঠিতে বলা হয়, ‘উক্ত চিকিৎসকের সাথে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং কারও ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদেও এহেন আচরণের কোনো সুযোগ নেই। তিনি কর্তৃপক্ষকেও আরও আশ্বস্ত করেন, তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন যাতে উক্ত চিকিৎসকের কারণে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে

চিঠিতে বলা হয়, ‘উক্ত চিকিৎসকের সাথে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং কারও ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদেও এহেন আচরণের কোনো সুযোগ নেই। তিনি কর্তৃপক্ষকেও আরও আশ্বস্ত করেন, তিনি বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন যাতে উক্ত চিকিৎসকের কারণে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।’

বদলির খবরে আরও ক্ষিপ্ত হন, পরিচালককে করেন গালাগালি

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার পর গত ২৭ অক্টোবর ডা. হারুনকে বরগুনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বদলি করা হয়। তবে, তিনি সেখানে যোগদান না করে উল্টো বিভিন্ন সময়ে নিটোরে এসে পরিচালকের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট কথাবার্তা ছড়াতে শুরু করেন। এমনকি বহিরাগতদের নিয়ে এসে পরিচালকের বিরুদ্ধে নানা হুমকি-ধামকি দেন বলেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একাধিক আনসার সদস্য জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে হাসপাতালটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার কমান্ডার আব্দুর রউফ বলেন, ইউসুফ হারুন স্যার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। কয়েক দিন আগে জরুরি বিভাগের সামনে পরিচালক স্যার ও সামসুল আলম স্যারকে গালাগালি করেন। এমনকি ভাঙচুর ও অফিসে তালা মারার জন্য বহিরাগতদের নিয়ে আসেন। আমরা বাধা দিলে আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। উনি তো ওনার সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গেই খারাপ আচরণ করেন, আমরা তো সামান্য নিরাপত্তাকর্মী। আমরা নিরুপায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিটোরের সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার এক চিকিৎসক বলেন, আমরা যে তার আচার-আচরণ পছন্দ করছি না, সেটাও তিনি বুঝছেন না। তিনি যে ধরনের কাজ করছেন সেটা পাগলামির পর্যায়ে চলে গেছে। এটা কোনো সুস্থ মানুষ করতে পারেন না। তার আচরণের কারণে কিন্তু পররাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তর থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেটারও গুরুত্ব তিনি বুঝছেন না।

যোগদান করেননি বরগুনা হাসপাতালেও

বরগুনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ কে এম নজমূল আহসান বলেন, ডা. ইউসুফ হারুনকে বরগুনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বদলি করে গত ২৭ অক্টোবর অর্ডার জারি করা হয়েছে। তবে, ১২ দিনেও তিনি আমার হাসপাতালে যোগদান করেননি। এমনকি কোনো কারণে তার যোগদানে বিলম্ব হবে কি না, বা কবে নাগাদ তিনি আসবেন, নাকি আদৌ আসবেন কি না, সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

তিনি বলেন, শুনেছি ডা. ইউসুফ হারুন সাহেব এখানে আসতে চাচ্ছেন না। এখন মন্ত্রণালয়ের অর্ডার হওয়ার পরও যদি কেউ আসতে না চান, তাহলে তো তার ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।

রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে যা বলছেন চিকিৎসকরা

ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সভাপতি ডা. জহিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডা. হারুনের আসলে হঠাৎ করে কী হলো বুঝতে পারছি না। হয়তো তার মানসিক কোনো সমস্যা দেখা দিয়েছে, নয়তো কারও উস্কানিতে তিনি এমনটা করছেন। অবস্থা এমন হয়েছে যে তিনি হাসপাতাল পরিচালকের সাথেও উদ্ধত আচরণ করছেন। এমনকি তার দুর্ব্যবহার থেকে বাদ যাচ্ছেন না নিরাপত্তাকর্মী থেকে শুরু করে অন্য চিকিৎসকরাও। এমনটা তো হতে পারে না।

তিনি বলেন, শুনছি প্রথমে তিনি নিজেকে এনডিএফের পরিচয় দিয়ে ক্ষমতা জাহির করতেন। তখন ড্যাবের নেতাকর্মীরা আমাদেরকে ব্যবস্থা নেওয়ার চাপ দিলে পরে দেখি তিনি আমাদের কেউ নন। তখন বিষয়টি জানাজানি হলে নিজেকে ড্যাবের কর্মী বলে পরিচয় দিতে শুরু করেন। যদিও ড্যাবের নেতারা তার দায়িত্ব নিতে রাজি হননি।

ডা. জহিরুল ইসলাম আরও বলেন, তাকে ইতোমধ্যে নিটোর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। গতকালই তাকে এক ঘণ্টার নোটিশ দিয়ে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপরও তিনি বারবার সবাইকে হুমকি-ধামকি দিয়ে বলছেন যে, আগামী ২০/২৫ দিনের মধ্যে তিনি আবার ফিরে আসবেন এবং বাকিদের দেখে নেবেন।

নিটোরের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলায় আমাকে ষড়যন্ত্র করে বদলি করা হয়েছে— ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ হারুন / ঢাকা পোস্ট

ডা. ইউসুফ হারুনে বিব্রত নিটোর পরিচালক

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী শামীমউজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমিও বিব্রত। তিনি যেন প্রশাসনের ভেতরে আরেকটি প্রশাসন। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাকেও নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পরবর্তীতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিষয়টি নিজ চোখে দেখেছেন। তারপর উনার দপ্তর থেকে দেওয়া চিঠিটা সবকিছু উন্মুক্ত করেছে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল পর্যন্ত তিনি বদলির আদেশ পালন না করে উল্টো হাসপাতালে এসে চিকিৎসাসেবার পরিবেশ নষ্ট করেছেন। আমরা সবাই মিলে যেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে আহত রোগীসহ অন্য রোগীদের অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে সার্বক্ষণিক ও নিরলস সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি, অথচ তিনি সবাইকে ঠিক মতো দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন। অবশেষে হাসপাতাল প্রশাসন তার বসার রুম থেকে তাকে বের করে দিতে বাধ্য হয়।

যা বলছেন ইউসুফ হারুন

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে তিনি চাকরির শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করছেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ হারুন বলেন, নিটোরের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলায় আমাকে ষড়যন্ত্র করে বদলি করা হয়েছে। আমি বদলির আদেশ বাতিল করার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। দেখি মন্ত্রণালয় কী করে।

হাসপাতালে কোথায়, কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে— জানতে চাইলে ডা. মোহাম্মদ ইউসুফ হারুন কোনো তথ্য-প্রমাণ তো দূরের কথা সদুত্তরও দিতে পারেননি। অথচ তাকে বদলি করা হয়েছে তার অসদাচরণের কারণে।

টিআই/এমএআর/