উদ্ভিদ প্রোটিনে লো স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকায় তা অন্যান্য প্রাণিজ প্রোটিনের তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ। হাড়ের সমস্যা ও দ্রুত হজমে সহায়তা করে সয়াবিন। এছাড়া চিকিৎসকের পছন্দের খাদ্য তালিকাতেও উপরের দিকে সয়াবিন।

আর কী কী উপকার হয় সয়াবিন খেলে? 

চিকিৎসকদের মতে সপ্তাহে তিনদিন ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম সয়াবিন ও নিয়মিত সয়া মিল্ক খেলে হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া ডায়েটে ফাইটোইস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ সয়াবিন থাকলে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি কমে। 

সয়াবিন থাকা প্রোটিন অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যাকে রোধ করতেও বেশ সাহায্য করে। সোয়া প্রোটিন ডায়েট এই ধরনের রোগ প্রতিহত করতে খুবই কার্যকরী।

সয়াবিন আছে আইসোফ্ল্যাভেন ও লেসিথিন। দুটি উপাদানই জোরালো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এগুলো লো ডেনসিটি কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্যে করে। ধমণির মধ্যে কোলেস্টেরলের পলি জমিয়ে রক্ত চলাচল কমিয়ে দেয় লোডেনসিটি কোলেস্টেরল। সয়াবিনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এই সমস্যার মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।

সয়াবিনের আইসোফ্ল্যাভেন অত্যন্ত জোরালো ফাইটো ইস্ট্রোজেন। ত্বক ও চুল উজ্জ্বল ও চকচকে রাখতে এই উপাদান সাহায্য করে। সয়াবিনে থাকা লেসিথিন রক্তচাপ স্বাভাবিক রেখে হার্ট ও মস্তিষ্ককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে অকালবার্ধক্য থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। সয়াবিনের লেথিসিন ফ্যাট মেটাবলিজিম বাড়াতে সাহায্য করে।

নিয়মিত সয়াবিন খেলে হাইডেনসিটি কোলেস্টেরল এবং লোডেনসিটি কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা হয়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে। সয়াবিনের মধ্যে থাকা প্রোটিন কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্যে করে। সোয়া ফাইবার রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও বেশ কার্যকরী।

তবে দিনে ৫০ গ্রামের বেশি সোয়াবিন খাওয়া ঠিক নয়। অনেকেরই বেশি সোয়াবিন হজমে সমস্যা হয়। তবে সোয়া মিল্ক প্রতি দিনই খাওয়া যায়। যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে, দুধ খেলে হজমের অসুবিধা হয়, তারা প্রতি দিন সোয়া মিল্ক খেতে পারেন। 

নোট : উল্লেখিত তথ্যগুলো পরামর্শ স্বরূপ, নির্দিষ্ট বিষয়ে ভালো ফল পেতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ  নেবেন।

এমএসএ