আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি নানা কাজে ব্যস্ত থাকে। ফলে এটির অভাব হলে কেবল মাত্র হাড় ক্ষয়ে যাওয়া বা ব্যথা নয়, তৈরি হতে পারে আরও বড় সমস্যা।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন পেশি নাড়াচাড়া করতেও প্রয়োজন হয় এটির। এর সাহায্য ছাড়া মস্তিষ্ক থেকে সারা শরীরে বার্তা পর্যন্ত পাঠাতে পারে না স্নায়ু। রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও এই ভিটামিনটি ছাড়া ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসদের প্রতিহত করা দুঃসাধ্য।

অনেক সময় কোলন ক্যানসার, স্তন বা প্রস্টেট ক্যানসারের মতো মারণ রোগ প্রতিরোধেও কাজ করে এই প্রয়োজনীয় ভিটামিনটি।

আসুন জেনে নিই, কোন বয়সে শরীরে কতখানি ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন। ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন বোর্ড (জাতীয় বিশেষজ্ঞদের একটি দল) আন্তর্জাতিক এককে (IU) মেপে দিয়েছে সেই সীমা।

১) জন্ম থেকে ১২ মাস : ৪০০ IU 
২) ১ থেকে ১৩ বছর : ৬০০ IU
৩) ১৪ থেকে ১৮ বছর : ৬০০ IU
৪) ১৯ থেকে ৭০ : ৬০০ IU
৫) তার ঊর্ধ্বে: ৮০০ IU
৬) গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী তরুণী ও মহিলারা : ৬০০ IU

রোদ থেকে পাওয়া ভিটামিন ‘ডি’-র কোনও বিকল্প নেই। তবে এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা খেলে শরীরে কিছুটা হলেও ভিটামিন ‘ডি’-র অভাব পূরণ হয়।

বড় ক্ষতির আগে অবশ্যই ভিটামিন ডি-র পরীক্ষা করুন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এমজে