ফাইল ছবি

রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজার করাতে এসে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের অবহেলা ও অসাবধানতায় অপারেশনের সময় শিশুর মাথা কেটে ফেলা হয়েছে এবং এর ফলে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসকের দাবি, শিশুর মাথায় আঘাত গুরুতর নয়। আর সিজারের আগেই অন্য কোনো কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুর চাচা নাজমুস সাকিব ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, নিহত নবজাতক শিশুটির বাবার নাম রাশেদুল ইসলাম। তারা হাসপাতাল সংলগ্ন মুগদা এলাকারই বাসিন্দা। আর শিশুর মৃত্যুতে তার স্বজনরা দায়ী করছেন ডা. সালমা এবং ডা. লোপা নামে হাসপাতালটির দুই চিকিৎসককে। ওই শিশু মৃত্যুর খবরের পর দুই চিকিৎসকই হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছেন।

নাজমুস সাকিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ধ্যার দিকে আমার ভাইয়ের বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। সিজার করতে গিয়ে বাচ্চার মাথার ওপরে এবং নিচে দুই জায়গায় অনেকটা কেটে ফেলা হয়েছে। হয় যারা সিজার করেছেন তাদের পূর্ববর্তী কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না, নইলে চিকিৎসক ছাড়াই অন্যান্য কোনো স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছে।

তিনি বলেন, সিজারের আগেও আমাদের বলা হয়েছে শিশু ও শিশুর মা ভালো আছে। কিন্তু সিজারের পর আমাদের বলা হয়, শিশু আগেই মারা গিয়েছিল। তাহলে কি ডাক্তাররা সেটি আগে বুঝতে পারেননি? ধরে নিলাম আগেই মারা গেছে, কিন্তু শিশুটির মাথার একাধিক জায়গায় কেন কেটে ফেলা হয়েছে? এগুলো কি আগেই (জন্মগত) কাটা ছিল? আমি মনে করি এখানে বড় চিকিৎসক নার্সদের সুস্পষ্ট অবহেলা ছিল।

এদিকে ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. এসএম হাসিবুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিশু মৃত্যুর বিষয়টি আমি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।  আগামীকাল হাসপাতালে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

অভিযুক্ত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করছেন তারা দুজনেই দক্ষ চিকিৎসক। তারপরও আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা জানিয়েছে সিজারের আগেই শিশুটির আগে মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু সিজারের সময় কোনো কারণে সেটি তারা টের পাননি। সিজার সম্পন্ন হওয়ার পর তারা বুঝতে পেরেছেন। আর মাথায় জখমের বিষয়টি শুনেছি খুবই ছোট বিষয়, এ কারণে হয়ত তার মৃত্যু নাও হতে পারে। তারপরও বিষয়টা আমি নিশ্চিত হয়ে কিছু বলছি না। কাল হাসপাতালে গিয়ে বিস্তারিত জেনেই আপনাদের জানানো হবে।

টিআই/এফআরএস